সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কৃষি খাতের খরচ জুলাই থেকে শুরু করতে হবে

----- আনোয়ার ফারুক

কৃষি খাতের খরচ জুলাই থেকে শুরু করতে হবে

সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেছেন, আগের বছরের তুলনায় কৃষি খাতে বরাদ্দ অনেক বাড়ানো হয়েছে। এডিপি প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষি খাতের বরাদ্দ প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর নানা সংকটের কারণে এডিপির অর্থ কীভাবে খরচ হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। বছরের শেষ সময়ে গিয়ে খরচ করলে তাতে কোনো কাজ হয় না। এই সংকটে সেই সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। করোনা সংকটে কৃষির ওপর আমাদের যে নির্ভরতা সেটা স্পষ্ট হয়েছে। তাই এবার কৃষি বরাদ্দ বাড়ানো হলেও খরচ করার প্রক্রিয়া বা বাস্তবায়ন করতে হলে জুলাই থেকেই শুরু করতে হবে। দেশের খাদ্য নিশ্চিত করতে কৃষককে বাঁচিয়ে কৃষির ওপর সর্বোচ্চ জোর দিতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আনোয়ার ফারুক বলেন, তেল, সারের দাম বিশ্ববাজারে কমেছে। কিন্তু সরকার সারের ভর্তুকি কমায়নি। এটা খুব ভালো দিক। অন্যান্য ভর্তুকিও বহাল রেখেছে। কিন্তু বাকি অর্থ কোথায় কীভাবে খরচ হবে- তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, পিয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করেছে। পিয়াজ চাষিরা এতে উপকৃত হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কৃষি বিপণনে। বিপণন নিয়ে বাজেটে বিস্তারিত পরিকল্পনা অবশ্যই থাকা উচিত। কৃষি ডাটাবেজ তৈরি করা জরুরি। ডিজিটাল ডাটাবেজ ভুটান তৈরি করেছে। আমরা কেন পারব না? ডাটাবেজ থাকলে কোন কৃষক কি উৎপাদন করে তা সহজে জানা যেত। তাকে সেভাবে অর্থ প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া যেত। পিয়াজ আদা রসুন উৎপাদনে কম মুনাফা হলে কেউ চাষ করবে না। এই তিনটি পণ্য আমদানিতে আমাদের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা চলে যায়। যদি সঠিকভাবে প্রণোদনা দেওয়া যেত তাহলে এটার ঘাটতি ৫০ শতাংশ কমানো যেত। তিনি বলেন, কৃষি পণ্য পরিবহন ও বিপণনের জন্য আলাদা পরিকল্পনা নিতে হবে। কৃষি পণ্য প্রসেসিং সেন্টার, পরিবহন খাতে আলাদা প্রণোদনা থাকা উচিত। শুধু কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য যদি ট্রাক কেউ আমদানি করে- সেজন্য কর ফ্রিও করা যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর