সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বিজিএমইএ’র প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘অর্থ পাচারের শীর্ষে গার্মেন্ট মালিকরা’ শিরোনামে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। পোশাকশিল্প মালিকদের এই নেতার দাবি- বিজিএমইএ’র কাছে প্রতিবেদনটি বস্তুনিষ্ঠ বলে প্রতীয়মাণ হয়নি। বরং পোশাকশিল্পকে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন প্রচেষ্টা বলে মনে হয়েছে। এতে কিছু মনগড়া ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের বক্তব্য : বিজিএমইএ একটি অযৌক্তিক প্রতিবাদ পত্রে অসৌজন্যমূলক, কুরুচিপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে নিজেদের হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে। মূলত ওই প্রতিবেদনে পুরোটাই বস্তুনিষ্ঠ তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। পোশাকশিল্পকে হেয় প্রতিপন্ন করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করা হয়নি। মনগড়া ও অসত্য তথ্য উপস্থাপনের কোনো প্রশ্নই আসে না। ওই প্রতিবাদে বিজিএমইএ অর্থপাচার, অন্যান্য অনিয়ম, অকাট্য তথ্য-প্রমাণ ও বন্ড জালিয়াতির মাধ্যমে কিভাবে টাকা পাচার সম্ভব, তা বোধগম্য নয় বলে যে দাবি করেছে, সে প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের বক্তব্য হলো- প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খানু তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য এবং বিভিন্ন সংস্থার তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, পোশাকশিল্প মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। তার এই সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ নীরবতাই পোশাকশিল্প মালিকদের অর্থপাচারের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে। প্রতিবাদ পত্রে  বিজিএমইএ নিজেই তাদের অন্যায় ও অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রাখাতে গিয়ে দৈনন্দিন ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য কাস্টমস তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা বা দাবিনামা আরোপ করছে, যা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের স্পষ্ট বক্তব্য হলো- দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উল্লেখিত অনিয়মের ধরনসমূহ প্রকাশ করাই দায়িত্বশীল ও নৈতিক সাংবাদিকতার পরিচয় বহন করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর