শিরোনাম
বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী

খরচ কম, বেশি লাভ হওয়ায় এবং চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়ল (উন্নত জাতের ভেড়া) পালনে আগ্রহ বেড়েছে খামারিদের। অনেকে সফলতা পেয়েছে, আবার গাড়ল (ভেড়া) পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এলাকার অনেক বেকার যুবক। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গাড়ল (উন্নত জাতের ভেড়া) পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী নবাবগঞ্জ উপজেলার তর্পনঘাট গ্রামের মৃত আবদুল শেখের ছেলে মো. রইচ উদ্দিন। খামারি মো. রইচ উদ্দিনের স্বল্প বেতনে ঠিকমতো সংসার চলত না। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকত। তিনি প্রায় ৫ বছর আগে মেহেরপুর জেলায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে গাড়ল ভেড়া পালনে উদ্বুদ্ধ হন। সেখান থেকে তিনি দুটি মা গাড়ল ৩৬ হাজার টাকায় কিনে বাড়িতে পালন শুরু করেন। এখন তার খামারে ১০০টির অধিক গাড়ল পালন করছেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা এসে তার কাছ থেকে গাড়ল ভেড়া কিনে নিয়ে যায়। এখন তিনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন। তার ভালো আয় রোজগার হওয়ায় এখন তার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে, এখন তিনি স্বাবলম্বী। গাড়ল ভেড়া পালনেই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। খামারি রইচ উদ্দিন জানান, গাড়ল ভেড়ার মাংস গন্ধমুক্ত সুস্বাদু। পুষ্টিগুণেও ভালো। দেশের দক্ষিণবঙ্গে এর মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। একজন খামারি ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে খরচ বাদে গাড়ল খামার থেকে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মাঠে ছেড়ে দিয়ে প্রাকৃতিক খাবার মাঠের ঘাস, লতাপাতা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে পালন করা যায়। রোগবালাই খুব কম। একটি গাড়ল বছরে দুবার ১/৩টি বাচ্চা দেয়। তিনি বেকার যুবকদের চাকরির পেছনে না ছুটে গাড়ল প্রজাতির ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানান। লাভজনক হওয়ায় উপজেলায় দিন দিন খামারিরা গাড়ল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. নাসিরুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ১২ জন খামারি প্রায় ৭০০ গাড়ল প্রজাতির ভেড়া পালন করছে। তুলনামূলক গৃহপালিত অন্য প্রাণীর চেয়ে গাড়লের রোগবালাই কম হয় এবং দ্রুত মাংস বৃদ্ধি হয়, আবার এর মাংসে চর্বি কম থাকে। লাভজনক হওয়ায় গাড়ল পালনে অনেকে এগিয়ে আসছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে গাড়ল প্রজাতির ভেড়া পালনে চিকিৎসাসেবা, পরামর্শসহ সব প্রকার সহযোগিতা করছে খামারিদের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর