শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

লাদাখ সীমান্ত এলাকায় ভারত চীনের সেনারা অনড় অবস্থানে

চলছে কূটনীতি

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

ভারত-চীন সীমান্ত পর্বতমালা লাদাখের গলওয়ানে সোমবার রাতে দুই পক্ষের মল্লযুদ্ধের পর পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। সীমান্ত থেকে দুই পক্ষের সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ থাকলেও গতকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষই সেনা সরায়নি। তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত ও চীন উভয়েই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে গলওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে গতকাল মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক করেছে ভারত ও চীন। সেনা সূত্রে জানা গেছে, গলওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে যে জায়গায় দুদেশের সেনাদের সংঘর্ষ হয়েছিল, সেই এলাকাতেই বৈঠক হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে চীন সেনা সরাতে রাজি হয়নি বলে কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে। ফলে ভারতও সেনা সরায়নি। এদিকে আজ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছেন। এ বৈঠক বিকাল ৫ টায় শুরু হবে। বৈঠকে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ সব রাজনৈতিক দলনেতাদেরকে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সেনারা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ভারতের পক্ষে এক কর্নেলসহ ১৯ জন সেনা জওয়ান নিহত হন। চীনের ৪৩ জন হতাহত হন বলে ভারতীয় সেনা সূত্র থেকে দাবি করা হয়। ভারতে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক : ভারতে চীনের উৎপাদিত জিনিসপত্র বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই সঙ্গে রেলমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, চারশো কিলোমিটার রেললাইনের সিগনাল ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের জন্য চীনা একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে নিযুক্ত করা হয়েছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশপাশি ভারতের সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-এর ফোর-জি প্রযুক্তির জন্য যে চীনা যন্ত্রাংশ আমদানি করার কথা ছিল, তাও বাতিল করে  দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, দেশের বহু জায়গাতেই প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে বহু চীনা জিনিসপত্র পুড়িয়ে  দেওয়া হচ্ছে। ভারতের ব্যবসায়ী সংস্থার সংগঠন ৫০০টি চীনা পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ৫২টি চীনা অ্যাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে।

সর্বশেষ খবর