রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ২০ বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অধস্তন আদালতের ২০ জন বিচারক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ২৪ কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ৫৯ জন কর্মচারীও করোনা আক্রান্ত। উপসর্গ নিয়ে আরও ছয়জন বিচারক আইসোলেশনে আছেন। পাশাপাশি করোনা উপসর্গ নিয়ে দুজন কর্মচারী মারা গেছেন। কিন্তু তাদের এখনো করোনা শনাক্তের রেজাল্ট আসেনি। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের সময় সারা দেশে এ পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ২০ জন বিচারক, সুপ্রিম কোর্টের ২৪ জন কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ৫৯ জন কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে আছেন আরও ছয়জন বিচারক। পাশাপাশি উপসর্গ নিয়ে গত ১৮ জুন মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের জারিকারক মো. কাউসার এবং ১৯ জুন নওগাঁ জেলা জজ আদালতের অফিস সহায়ক মহিউদ্দিন মোহনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের এখনো করোনা পরীক্ষার ফলাফল আসেনি। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম গত ২২ মে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর পরে মুন্সীগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমান আক্রান্ত হন। বর্তমানে তারা দুজন সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগদান করেছেন। এ মুহূর্তে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বেগম শামীম আহমেদ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী।

সাইফুরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি যেসব বিচারক বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসস্থানে চিকিৎসাধীন আছেন, তারা হচ্ছেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার, ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম মাহমুদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব এস মোহাম্মদ আলী, কক্সবাজরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, বরিশালের অতিরিক্ত জেলা জজ মুহাম্মদ মাহবুব আলম, সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ মাসুদ পারভেজ, নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ মাসুদ জামান, কুড়িগ্রামের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৈয়ব আলী, নেত্রকোনার সহকারী জজ মো. মেহেদী হাসান, চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান, ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ তসরুজ্জামান, নোয়াখালী হাতিয়া চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন এবং ডিপিডিসি-২ এর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেজমিন সুলতানা। সুপ্রিম কোর্ট থেকে করোনা আক্রান্ত বিচারক এবং কর্মচারীর চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা জজদের অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সময় সময় প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা হচ্ছে বলে জানান সাইফুর রহমান।

 

সর্বশেষ খবর