শিরোনাম
সোমবার, ২২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কোয়ারেন্টাইন শেষ ডা. ফেরদৌসের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোয়ারেন্টাইন শেষ ডা. ফেরদৌসের

ডা. ফেরদৌস খন্দকার সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে চান জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তখন থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। গত রবিবার তিনি কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরার পর এয়ারপোর্ট থেকেই তাকে আনুষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। গতকাল তার কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ডা. ফেরদৌস খন্দকার লিখেছেন, অবশেষে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হলাম আমি। কেটে গেল ১৪টি দিন। এই মুহূর্তে কোনো অভিযোগ নয়, কেবল ধন্যবাদই দিতে চাই সবাইকে। যারা গত ১৪টি দিন আমার সঙ্গে ছিলেন। বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়েছেন, মানসিকভাবে শক্ত থাকতে প্রেরণা জুগিয়েছেন। তবে একথা আমাকে বলতেই হবে যে, শুরুটা বেশ কঠিনই ছিল আমার জন্য। আমার বিরুদ্ধে ‘অহেতুক’ এবং ‘মিথ্যা অভিযোগে’র বিরাট ঝড় উঠেছিল। সব ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ঝড়ও হয়তো থেমে গেছে। দেশে আসার পর আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে দেওয়া হয়েছে; এই বিষয়টি আমি প্রথম পাঁচ দিন মানতেই পারছিলাম না। কেননা আমার অ্যান্টিবডির সনদ ছিল। তখন মানসিকভাবে রীতিমতো বিদ্ধস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরিবার, সহকর্মী, বন্ধু, সুধীজন, সহযোদ্ধারা, সাংবাদিক এবং দেশের মানুষের সহায়তা ও সমর্থন আমাকে সাহস জুগিয়েছেন।

তিনি আরও লিখেছেন, দেশে এসেছিলাম কয়েক সপ্তাহ দেশবাসীর জন্য কাজ করব বলে। ছোট্ট একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে যাব, এমন আশা ছিল। সেই লক্ষ্যেই দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য এসেছিলাম। যদিও সময় কিছুটা ক্ষেপণ হয়ে গেছে। এরপরও আমি মনে করি, কোনো আক্ষেপ নেই আমার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কিছুটা কাজ করে যাব। তবে সঙ্গে নিয়ে যাব গত দুটি সপ্তাহে ঘটে যাওয়া অনেক কিছু ও অভিজ্ঞতা। আমি অতি সাধারণ একজন চিকিৎসক। তবে দেশকে, দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি। এসেছিলাম, দুর্যোগের এই সময়টায় কেবলই দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ বা ইচ্ছা আমার ছিল না; নেইও। ফলে যারা তেমনটি ভেবেছিলেন, আশা করছি আপনাদের ভুলটা ভেঙেছে। বাংলাদেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির যোদ্ধারা করোনার এই সময়টায় রীতিমতো জীবনবাজি রেখে লড়াই করছেন। তাদের আত্মত্যাগ, এই জাতি সবসময়ই মনে রাখবে। সামনের দিনগুলোতেও তারা এমনিভাবে লড়ে যাবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিষয়ক ছোট্ট একটি সেটআপ শুরু করব। কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মায়ের বিরুদ্ধে সন্তানের কোনো অভিযোগ থাকে না। আমারও নেই। ভালোবাসা বাংলাদেশ। আপনাদের মঙ্গল হোক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর