শিরোনাম
সোমবার, ২২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
ভ্যাকসিন

চীনের ষষ্ঠ ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষা

প্রতিদিন ডেস্ক

চীনের ষষ্ঠ ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষা

চীনা গবেষকরা করোনাভাইরাসের ষষ্ঠ ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপে মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন। ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা আরও মূল্যায়নের লক্ষ্যে এই পরীক্ষা চলছে। গতকাল চাইনিজ একাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল বায়োলজি (আইএমবিসিএএমএস) এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র : রয়টার্স। এতে আরও বলা হয়, চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি অন্তত ছয়টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। সেই ছয়টির একটি গত শনিবার আইএমবিসিএএমএস দ্বিতীয় দফায় মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে। প্রথম ধাপে অন্তত ২০০ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে গত মে মাসে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ করা হয়েছিল। মানবদেহে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় মাত্রা এবং সুস্থ মানুষের শরীরে নিরাপদে ভ্যাকসিনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে কিনা- সেটি জানা যাবে। আইএমবিসিএএমএস আশা করছে, চলতি বছরই করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু হবে। গত মাসে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক গ্যাও ফু বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গ্রুপের কিছু মানুষ ২০২০ সাল শেষের আগেই করোনার  যে কোনো একটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের অন্তত এক ডজন ভ্যাকসিন এখন মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া আরও শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার করল নাইজেরিয়া : এবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার বিজ্ঞানীরা। বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে কেবল আফ্রিকার জনগোষ্ঠীর জন্যই ব্যবহার করা হবে এ ভ্যাকসিন। পরবর্তীতে বৃহৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দেওয়া হবে। খবর আনাদোলু এজেন্সির। গবেষকরা আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স সংগ্রহ করে সেটার ভিত্তিতে তৈরি করেছেন এ ভ্যাকসিন। যদিও তারা এখনো এই টিকার নাম প্রকাশ করেননি। ভ্যাকসিনের বিষয়ে গবেষক ডা. ওলাদিপো কোলাওলে বলেছেন, ‘বৈশ্বিক এই মহামারীর একটা সমাধান দেওয়ার আকাক্সক্ষা থেকেই আমরা এটি  তৈরি করেছি। এই টিকা গুজব কিংবা বাড়াবাড়ি নয়, সত্যিকার অর্থেই তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা একাধিকবার প্রয়োগ করে এটার কার্যকারিতা যাচাই করেছি। প্রাথমিকভাবে এটা কেবল আফ্রিকানদের জন্য  তৈরি। তবে অন্যদেও ক্ষেত্রেও এটা কাজ করবে। অবশ্য বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করতে আরও ১৮ মাস প্রয়োজন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর আমরা এটা তৈরি করতে পেরেছি। আসলে আমরা বুঝতে পেরেছি যে ওষুধ নয়, করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োজন। সে কারণেই আমরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগী হই।’ জানা গেছে, এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে ৭.৮ মিলিয়ন নাইরাসের যোগান দিয়েছে নাইজেরিয়ার ট্রিনিটি ইমুনোডেফিসিয়েন্ট ল্যাবরেটরি ও হেলিক্স বায়োজেন কনসাল্ট।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর