শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
সুমাইয়া হত্যা মামলা

প্রধান আসামি স্বামী ও শ্বশুর গ্রেফতার

নাটোর প্রতিনিধি

প্রধান আসামি স্বামী ও শ্বশুর গ্রেফতার

নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকায় ঢাবির মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক এবং শ্বশুর জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে নাটোরের সীমান্ত এলাকা বাঘা থেকে মোস্তাককে এবং শ্বশুর জাকির হোসেনকে নন্দীগ্রাম থেকে গতকাল ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকার বাড়ি থেকে শাশুড়ি সৈয়দা মালেকা ও ননদ জাকিয়া ইয়াসমিন যূথীকে গ্রেফতার করে। তখন থেকে পলাতক ছিলেন সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক ও শ্বশুর জাকির হোসেন। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের আটটি ইউনিট কাজ করে বলে জানান তিনি। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্বশুর বাড়ি থেকে চাহিদামতো টাকা না পাওয়ায় বেকার মোস্তাক বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বারবার চাপ দেয়। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর সুমাইয়া তার স্ট্রোকে আক্রান্ত মায়ের কাছে টাকা না চেয়ে নিজেই কিছু একটা করার চিন্তা করছিলেন। এজন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার। মেধাবী সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তিনি অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। গত বুধবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষায়ও সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৪৪ মার্ক পেয়ে প্রথম শেণিতে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এই ফলাফল পাওয়ার আগেই সুমাইয়াকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। সুমাইয়াকে হত্যার পর এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে সুমাইয়ার স্বামীর পরিবার। তারা জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু খোঁজখবর নিয়ে সবকিছু জানতে পেরে সুমাইয়ার মা সোমবার গভীর রাতে নাটোর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর