শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নিউইয়র্কে আগতদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

টেক্সাস, আরিজোনা, ফ্লোরিডা, আলাবামা, আরকানসাস, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ও ইউটাহ-এই ৯ স্টেটের অধিবাসীরা নিউইয়র্ক অথবা নিউজার্সি কিংবা কানেকটিকাট স্টেটে এলেই বাধ্যতামূলকভাবে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ১৪ দিন। নিউইয়র্কে এ নির্দেশ অমান্য করলে প্রথমবার জরিমানা হবে ১ হাজার ডলার। পুনরায় অমান্য করলে জরিমানার পরিমাণ বেড়ে ৫ হাজার  ডলার        এবং তৃতীয় বার অমান্যের ঘটনা ঘটলে ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা গুনতে হবে। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য ২৪ জুন বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর উপরোক্ত তিন স্টেটে এ বিধি বহাল হয়েছে। নিউজার্সি ও কানেকটিকাটে জরিমানার হার আলাদাভাবে নির্ধারণ করবেন স্টেট গভর্নররা। এ দুই গভর্নরকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার ম্যানহাটানে এক প্রেস ব্রিফিংকালে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো এ বিধি জারির কথা বলেন। ক্যুমো বলেন, ‘উপরোক্ত নয় স্টেটেই করোনার পুনরাক্রমণের পরিধি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাই আমাদের অধিবাসীদের সুরক্ষাকল্পে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হলাম।’ প্রসঙ্গত, মার্চের শেষে ও এপ্রিলে নিউইয়র্ক অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন স্টেট গভর্নর এমন বিধি চালু করেছিলেন। অর্থাৎ নিউইয়র্ক থেকে কেউ সেখানে গেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন ছিল বাধ্যতামূলক। নিউজার্সির গভর্নর ফিল মারফি, কানেকটিকাটের গভর্নর লেড লেমন্ট ভিডিও কনফারেন্সে গভর্নর ক্যুমোর সঙ্গে সুর মিলিয়ে আরও বলেন, ‘ওই নয় স্টেটে গত সাত দিনের সংক্রমণের গড় হার হচ্ছে প্রতি লাখে ১০ জন করে। এই সময়ে করোনা টেস্টের রেজাল্টও একই হারে এসেছে।’

গভর্নররা উল্লেখ করেন, ‘আমরা বহুকষ্টে নিজ নিজ স্টেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। মৃতের হারও অনেক কমেছে। হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তির হারও স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। এ অবস্থায় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা কোনোভাবেই মহামারীর পর্যায়ে আবারও ফিরে যেতে চাই না। মার্চ-এপ্রিলে আমাদের এ তিন স্টেটে যা ঘটেছে তা ছিল কল্পনারও অতীত।’ গভর্নর ক্যুমো উল্লেখ করেন, ‘এয়ারলাইনস অথবা সড়কপথ- যেভাবেই আসুক না কেন, প্রত্যেকেরই আইডি রয়েছে। ফ্লাইটে আগতদের তথ্য আগেই এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ অবহিত হবেন। তারাই কোয়ারেন্টাইনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করবেন। সড়কপথে আগতরা প্রবেশদ্বারে ব্রিজ/সড়কের টোল প্রদানের সময় নিজেদের পরিচয় দেবেন। সুতরাং ফাঁকির কোনো সুযোগ নেই। নিজের, স্বজনের এবং সমাজের প্রতিটি মানুষের স্বার্থে এ নির্দেশ মেনে চলা উচিত। এটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী নয় কিংবা আমরাও সংবিধানের পরিপন্থী কিছু করছি না। সবকিছু করা হচ্ছে জনস্বার্থে এবং অদৃশ্য এ শত্রুকে পরাস্ত করতে।’

সর্বশেষ খবর