শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখছে মোংলা বন্দর

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়লেও নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যে ভর করে লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখছে মোংলা বন্দর। করোনা সংকটেও মোংলা বন্দর দিয়ে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। কয়লা, গ্যাস ও ক্লিংকার আমদানির যে প্রবাহ তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে সার, কয়লা, ক্লিংকার, রিকন্ডিশন গাড়ি, মেশিনারিজ ও কনটেইনারজাত পণ্য আমদানি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মোংলা বন্দর দিয়ে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় সার্বিক আমদানি-রপ্তানি কিছুটা কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরের মে পর্যন্ত সেখানে                  আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন। হিসাব অনুযায়ী, আমদানি-রপ্তানি এখনো কাছাকাছি হলেও করোনার গত চার মাসে বন্দরে জাহাজ আগমন কমেছে। গত জানুয়ারিতে বন্দরে ৯৪টি জাহাজ এলেও তার পর থেকে জাহাজ আগমনের সংখ্যা নেমেছে ৭০-৭২টিতে। এ ছাড়া জাহাজে পণ্য আমদানিও কমেছে। জানা যায়, গত অর্থবছরে মোংলা বন্দর দিয়ে চিংড়ি, সাদা মাছ রপ্তানি হয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৩১ মেট্রিক টন। সেখানে চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত মাছ রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন। রপ্তানিকারকরা বলছেন, বিদেশি আমদানিকারক অনেকে চিংড়ির শিপমেন্ট বাতিল করেছেন। সর্বশেষ ২৫ ও ৩০ মার্চ দুটি জাহাজে মোংলা বন্দর দিয়ে ইউকে, জার্মানিসহ ইউরোপের বাজারে ৭ কনটেইনার (প্রায় ৭০ মেট্রিক টন) চিংড়ি রপ্তানি হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় সেখানে চিংড়ি রপ্তানি হতো ৩০-৩৫ কনটেইনার। তবে চলতি জুনের সীমিত আমদানি-রপ্তানি যোগ হলে দেখা যাবে, মোংলা বন্দর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে খুব একটা পিছিয়ে নেই। তবে মোংলা বন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি-রপ্তানি সচল থাকায় এখনো বড় ধরনের প্রভাব পড়েনি বলে মনে করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, করোনার কয়েক মাসে কিছুটা গতি হারালেও সার্বিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে সার, কয়লা, ক্লিংকার, রিকন্ডিশন গাড়ি, মেশিনারিজ ও কনটেইনারজাত পণ্য আমদানি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতেও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। কয়লা, গ্যাস ও ক্লিংকার আমদানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর