শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে চেয়ারেই আইনজীবীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে চেয়ারেই আইনজীবীর মৃত্যু

রাজশাহীতে চেয়ারে বসা অবস্থায় কৃষ্ণ কমল দত্ত (৮৫) নামে একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। নগরীর কুমারপাড়া কালী মাতার মন্দির সংলগ্ন নিজ বাড়িতে চেয়ারে নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারে নিস্তেজ শরীরে তাকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন-এমন ধারণা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেউ তার কাছে যায়নি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে একা  বসবাস করছেন আইনজীবী কৃষ্ণ কমল দত্ত। মনোমালিন্যের কারণে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের কোনো সন্তানও নেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান চিকিৎসার আশায় ভর্তির জন্য। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন। গতকাল এই আইনজীবীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছসেবক দল তার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক অ্যাডভোকেট মেহেদী জানান, আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষ্ণ কুমারের দেহটি সৎকার করার উদ্যোগ নেবেন। এদিকে রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও দুজন। করোনায় মৃত ব্যক্তির নাম হারুন-অর-রশিদ (২৫)। তার বাড়ি নওগাঁয়। রাজশাহীর সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হারুন রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। করোনা পজিটিভ আসার পর তাকে আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মৃত হলেন, রাজশাহী নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা বুলবুলি বেগম (৬০)। তিনি গতকাল সকালে মারা গেছেন। এদের মধ্যে বুলবুলি রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃত বুলবুলি বেগমের মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না তা পরীক্ষার পরই বলা যাবে। আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার মরদেহ দাফনের জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর