গাজীপুরে লকডাউন চলাকালীন বকেয়া বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে এক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গতকাল কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকার আলীফ ক্যাজুয়াল লিমিটেড পোশাক কারখানায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালে এ কারখানাটির আংশিক উৎপাদন বন্ধ ছিল (তিনটি লাইন চালু ছিল)। লকডাউন চলাকালে যেসব শ্রমিক কারখানায় কাজ করতে পারেননি শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের বেতনের ৬০ শতাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। আবার এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে ৫ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ৬৫ শতাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সরকারের
ওই সিদ্ধান্ত না মেনে কারখানার আংশিক শ্রমিকদের মার্চ, এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করে। গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার জানান, গতকাল সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় বকেয়া বেতন-ভাতা, টিফিন ভাতা, ওভার টাইম ভাতা, রিজাইনকৃত ভাতা পরিশোধ, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানান। কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে শ্রমিকরা কারখানার পার্শ্ববর্তী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর এসে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে কারখানার মালিক পক্ষ শ্রমিকদের মে মাসের বেতন আগামী ২৮ জুন এবং বকেয়া বেতনসহ শ্রমিকদের অবশিষ্ট পাওনাদি ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে।
