সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

উপসর্গ নিয়ে ১৯ মৃত্যু

সর্দি কাশি ডায়রিয়া গলাব্যথা শ্বাসকষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপসর্গ নিয়ে ১৯ মৃত্যু

দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে সাতজন, কুমিল্লায় ছয়জন, সুনামগঞ্জে একজন, চাঁদপুরে দুজন, হবিগঞ্জে একজন, সাতক্ষীরায় একজন ও মুন্সীগঞ্জে একজন মারা গেছেন। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী- রাজশাহীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চারজনই মারা গেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর আমবাগান এলাকার সাইদুর রহমান (৪৫), শিরোইল কলোনী বড় মসজিদ এলাকার সিয়ামুল হক (৬০), লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার রাবেয়া বেগম (৬৫) এবং ঘোষপাড়া এলাকার মো. খোকন (৪০)। এ ছাড়া মারা গেছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ গ্রামের মকবুল হোসেন (৭৫), রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) মাজারে আসা যশোরের অভয়নগরের আশরাফুল ইসলাম (৪৮) এবং বোয়ালিয়া থানা এলাকার সুভাষ চন্দ্র সাহা (৫০)। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুজন নারীসহ এক দিনে ছয়জন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার রাহেলা বেগম (৭০), লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকার মোস্তফা মিয়া (৬০), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নাসিমা বেগম (৫৬), একই উপজেলার ফরিদ উদ্দিন (৭০), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ  উপজেলার মোতাহের হোসেন (৪৮) ও কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোসলেম মিয়া (৭২)। সুনামগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে সিলেটে করোনা রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে গৌতম চন্দ (৫০) নামের ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। গৌতম চন্দ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মুক্তারপাড়া এলাকার গণেশ চন্দের ছেলে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যবসায়ী (৫৫) মারা গেছেন। শনিবার রাত ১২টার দিকে নিজের বাড়িতে মারা যান তিনি। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে চাঁদপুরে শহরের মিশন রোড এলাকার নান্নু মিয়াজী (৫৫) মারা গেছেন। জানা গেছে, তিনি গতকাল দুপুর ১২টায় জ্বর, শ^াসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে এক পল্লী চিকিৎসক (৫৫) মারা গেছেন। শনিবার বিকালে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। জানা গেছে, ওই পল্লী চিকিৎসক পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে জ্বর, স?র্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি বাছিরগঞ্জ বাজারে একটি হোমিওপ্যাথি চেম্বারে কর্মরত ছিলেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে আসার আধা ঘণ্টার মধ্যেই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যক্তির (৪০) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি জেলার তালা উপজেলার বাসিন্দা। করোনা উপসর্গ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় নমুনা দিতে গিয়ে চান বড়– (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। মৃত চান বড়– শ্রীনগর উপজেলার যশুরগাঁও গ্রামে বসবাস করছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার  বোয়ালমারী উপজেলার কুমড়াকান্দি গ্রামে।

 বৃদ্ধার নাতিজামাই মো. জমসের জানান, সকালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার জন্য। কিন্তু নমুনা  দেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর