মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার দ্বিতীয় সুনামি বিশ্বে

বলছেন বিশেষজ্ঞরা

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্তের দিক থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে রয়েছে। গত শনিবারের মতো রবিবারও আক্রান্তে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ব্রাজিল এবং তৃতীয় ছিল ভারত। বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাবে তিন ভাগের দুই ভাগই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৪ হাজার ৯৭০ জন এবং আক্রান্ত ছিল ১ কোটি ২ লাখ ২ হাজার ৭৩০ জন। এর আগে রবিবার ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ছিল ৩ হাজার ৪৫৪ জন এবং আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৭২ জন। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৪০ হাজার ৫৪০ জন, মৃত্যু হয় ২৮৫ জনের। ব্রাজিলে আক্রান্ত হন ২৯ হাজার ৩১৩ জন, মৃত্যু হয় ৫৫৫ জনের। ভারতে আক্রান্ত হন ১৯ হাজার ৬২০ জন, মৃত্যু হয় ৩৮৪ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত হন ৬ হাজার ৭৯১ জন, মৃত্যু হয় ১০৪ জনের। দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্ত হন ৬ হাজার ৩৩৪ জন, মৃত্যু ছিল ৪৩ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ৪১০ জন, মৃত্যু ছিল ৬০২ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ৭২ জন, মৃত্যু ছিল ৮৩ জন। সৌদি আরবে আক্রান্ত হন ৩ হাজার ৯৮৯ জন, মৃত্যু ছিল ৪০ জন। এদিকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কভিডের দ্বিতীয় ‘সুনামি’ আছড়ে পড়া শুরু করেছে গোটা বিশ্বে। এ কারণে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ প্রায় প্রতিটি দেশই নতুন করে বেসামাল হয়ে উঠতে পারে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এরই মধ্যে করোনার ‘সেকেন্ড ফেজ’কে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ৬২ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। সেখানেও দ্বিতীয় দফায় প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র শক্ত হাতে হাল ধরেছে চীনই। গত এক সপ্তাহে বেইজিং ও তার সংলগ্ন এলাকায় চোখ রাঙাতে পারেনি কভিড। রাশ টানতে একটুও সময় নষ্ট করেনি চীন। সংক্রমিত এলাকায় কড়া শাসনে লকডাউন, বাজার-হাট, শপিং মল সব বন্ধ, পাঁচ লাখ মানুষকে ঘরবন্দী করে তারা এই সেকেন্ড ফেজকে সামাল দিচ্ছে। আর এতে করে এরই মধ্যে করোনাকে ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নতুন করে একজনেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আক্রান্তের সংখ্যা এখন মাত্র ১৭ জন।

সর্বশেষ খবর