মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ভোট জালিয়াতিতে নিউজার্সিতে গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

নিউজার্সির প্যাটারসন সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে দুই বাংলাদেশি প্রার্থীর ভোট গণনার জটিলতার মধ্যেই এক প্রার্থীর ভাইসহ দুজনকে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে এফবিআই গ্রেফতার করেছে। ডাকযোগে আনা ব্যালটের মাধ্যমে শাহীন খালিক নামে এক প্রার্থীর বিজয় ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে প্রতারণার মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ১৯ মে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত দুই নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলম্যান শাহীন খালিকের বিরুদ্ধে লড়েন মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান। ভোট গণনা শেষে শাহীনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনি পান ১৭২৯ ভোট। অপরদিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান পান ১৭২১ ভোট। নির্বাচন কমিশনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে পুনরায় গণনার আবেদন জানান আক্তারুজ্জামান। দ্বিতীয়বারের গণনায় আকতারুজ্জামানের ভোট বাড়ে। তবে শাহীন খালিক এগিয়ে থাকেন ৩ ভোটে। এরপর আবারও গণনার অনুরোধ জানালে তৃতীয় দফায় উভয়ের সমান ভোট হয়। উ™ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মামলার উদ্ভব হওয়ায় নির্বাচন কমিশন দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার মধ্যেই নিউজার্সি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ভোট নিয়ে প্রতারণা, ভোট ডাকাতি এবং ভোট গণনার ফলাফল নিয়ে কারচুপির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের পরই গত ২৫ জুন শাহীন খালিকের বড়ভাই সেলিম খালিক (৫১) এবং তার সমর্থক আবু রেজিয়েনকে (২১) গ্রেফতার করা হলো।

সিলেটের বিয়ানিবাজারের সন্তান সেলিম খালিক বাস করতেন প্যাটারসন সিটির ওয়েন এলাকায়। তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ডাকযোগে আসা ব্যালট গণনায় প্রতারণা (তৃতীয় ডিগ্রি), বেআইনিভাবে ব্যালট নিজের কব্জায় রাখা (তৃতীয় ডিগ্রি), সরকারি নথির পরিবর্তন ঘটানো এবং ভোট গণনার ফলাফলে মিথ্যা তথ্য প্রদান (চতুর্থ ডিগ্রি) করেছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত প্রসপেক্ট এলাকার অধিবাসী আবু রেজিয়েনের বিরুদ্ধে ডাকযোগে আসা ভোট প্রদানে প্রতারণা (তৃতীয় ডিগ্রি) এবং বেআইনিভাবে নির্বাচনের ব্যালট দখলে রাখার (তৃতীয় ডিগ্রি) অভিযোগ করা হয়েছে আদালতে। 

অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, তারা কমপক্ষে তিনটি ব্যালট পেপার ভোটারের কাছে থেকে ক্রয় করেন এবং তা নিজের দখলে রাখেন। সংশ্লিষ্ট ভোটারের পক্ষ থেকে এসব ব্যালট তার কাছে রাখার অনুমতি ছিল না।

সর্বশেষ খবর