বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন : ঐক্যফ্রন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাকালীন এ দুঃসময়ে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী ৫১ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে শরিক সংঠনগুলোর নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। এতে তারা অবিলম্বে সরকারকে এ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান এবং পাটকল শ্রমিকদের সব কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, বিকল্প ধারার অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী প্রমুখ। নেতারা বলেন, রাষ্ট্রীয় খাতের সবগুলো পাটকল সরকার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাটকলগুলোতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। অর্থাৎ ৫১ হাজার কর্মীর পরিবারের অন্তত আড়াই লাখ মানুষের জীবনে এক চরম বিপর্যয় তৈরি করা হচ্ছে। এমন এক সময়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যখন করোনার ভয়ঙ্কর অভিঘাতের ফলে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক, সরকার বর্তমানে কর্মে নিযুক্ত মানুষকেও কর্মচ্যুত করছে। পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, গত ৪৮ বছরে সরকারকে এ পাট খাতে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা  লোকসান দিতে হয়েছে। অথচ পাট খাতে যে লোকসান হয় সেটার জন্য শ্রমিকরা কোনোভাবেই দায়ী নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত আর সব খাতের মতো প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণেই এ শিল্পগুলোতে লোকসান হয়। সেই ব্যর্থতার মূল্য আজ দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবির পাশাপাশি পাটকল শ্রমিকদের যে কোনো কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানান ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর