বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

গড় আয়ু বেড়ে সাড়ে ৭২ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু আরও কিছুটা  বেড়েছে। এটা এখন ৭২ দশমিক ৬ বছর হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস। সংস্থাটির পরিচালিত ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) তৃতীয় পর্যায়’ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল এ প্রকল্পের পরিচালক একেএম আশরাফুল হক আগারগাঁওয়ে বিবিএসের সম্মেলন কক্ষে ২০১৯ সালের এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন। এর আগে ২০১৮ সালের জরিপে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু পাওয়া গিয়েছিল ৭২ দশমিক ৫ বছর। সে হিসাবে মানুষের গড় আয়ু আরও ৬ মাসের মতো বেড়েছে। আশরাফুল হক বলেন, এবারের জরিপে পুরুষের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৭১ দশমিক ১ বছর এবং নারীদের ৭৪ দশমিক ২ বছর হয়েছে। আগের জরিপে পুুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক ৬ বছর। আর নারীদের ৭৩ দশমিক ৫ বছর। ফলে উভয় লিঙ্গের মানুষেরই গড় আয়ু আরও কিছুটা বেড়েছে। শিশু মৃত্যুর হার কমে আসা এবং জটিল রোগের চিকিৎসায় সুফল পাওয়ার ফলে গড় আয়ু বাড়ছে বলে জানানো হয় অনুুষ্ঠানে। ২০১৯ সালের এই প্রতিবেদন তৈরিতে ২০১২টি এলাকার ২ লাখ ৯৮ হাজার ৮১০টি খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন বিবিএস কর্মীরা। যা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা (আনুমানিক) ধরা হয়েছে ১৬  কোটি ৬৫ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার; ৮ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার জন নারী। আর ২০১৮ সালের প্রতিবেদন তৈরির সময় দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬  কোটি ৪৬ লাখ ধরা হয়েছিল। সেই হিসাবে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াচ্ছে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে শহরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার কমলেও গ্রামে বেড়েছে। সর্বশেষ জরিপে শহরাঞ্চলের ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের ৬২ দশমিক ৭ শতাংশ নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা বলেছেন। ২০১৭ সালে এই হার ছিল শহরে ৬৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গ্রামে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৮৮ দশমিক ৪ শতাংশ মুসলমান এবং ১১ দশমিক ৬ শতাংশ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। দেশের ৯৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আলো ব্যবহার করেন। সৌর বিদ্যুতের আলো ব্যবহার করেন ৩ দশমিক ৩ শতাংশ; আর ২ দশমিক ৯ শতাংশ বাতি জ্বালাতে এখনো  কেরোসিনের ওপর নির্ভর করেন। স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহার করেন দেশের ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। অন্যান্য ধরনের টয়লেট ব্যবহার করেন ১৭ শতাংশ। এখনো ১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করার কথা বলেছেন জরিপে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর