ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, করোনাভাইরাস মহাসংকট উত্তরণে স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নতি ঘটাতে হবে। সবকিছু সহজলভ্য করতে হবে। করোনা টেস্ট ফ্রি করার পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলায় করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। পীর চরমোনাই বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধৈর্যধারণ করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যায় ও অসত্য কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে হবে। তিনি বলেন, জাতির চরম দুর্যোগের প্রাক্কালেও সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ত্রাণের চাল ও অর্থ আত্মসাতের মতো ঘটনা জাতিকে চরমভাবে ব্যথিত করেছে। তিনি বলেন, কর্মহীন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তারা সম্মানের ভয়ে হাতপাততে পারছে না। অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়ছে। এ সংকট কবে নাগাদ শেষ হবে তা কেউ জানে না। পীর চরমোনাই বলেন, সরকারদলীয় তিন সংসদ সদস্যের নানা অপকর্ম দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। সরকারদলীয় এমপিদের চরম দুর্নীতি সচেতন জনতাকে ভাবিয়ে তুলেছে। সরকারদলীয় এমপিরা নিয়োগবাণিজ্য, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ফসলি জমির মাটি কাটা, সন্ত্রাস আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। তারা অর্থ ও মানব পাচারের পাশাপাশি নানা অপকর্মে জড়িত। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদফতরের লুটতরাজ থেমে নেই। আমরা ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আসছি। বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বাজেট বাস্তবতাবর্জিত। বাজেটে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে জাতির সঙ্গে মসকরা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কোটি কোটি মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যূনতম বেঁচে থাকার সুযোগও সংকীর্ণ, সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার পেছনে এতো টাকা খরচ আশোভনীয়। বিশেষত এই করোনাকালে এই ব্যয় দৃষ্টিকটু।