ভারত সরকার চীনের ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের উইবো অ্যাপ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন। এর ফলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে যে ব্যক্তিগত বার্তা বিনিময় করতেন তা আর হবে না। একই দিনে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি ভারতের হাইওয়ে প্রকল্পে চীনের সঙ্গে করা ঠিকাদারির সব চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। এমনকি যেসব বেসরকারি সংস্থা চীনের সঙ্গে যৌথ প্রকল্প করছিল সেসবও বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও ঘোষণা করছেন, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পেও চীনা সংস্থার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। চীনের সঙ্গে আর্থিক যুদ্ধ চরমে উঠল।
এদিকে গতকাল লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত সামরিক পর্যায়ে তৃতীয় দফা যে বৈঠক হয় সেখানেও কোনো সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে ভারত সরকারের সূত্র জানিয়েছে বৈঠক আরও চলবে। এই বৈঠক হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় এলাকা চুসুলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, সড়ক নির্মাণে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়, তাই ভারতীয় সংস্থাগুলোকে যোগ দেওয়ার জন্য আগের নিয়ম শিথিল করা হবে। আবার নতুন করে দরপত্র ডাকা হবে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন চীন ছাড়া অন্য বিদেশি কোম্পানির অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। বলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য চীনা আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। চীনের সঙ্গে আর্থিক জটিলতার কারণে বেশ কিছু আমদানি করা পণ্য বন্দরে আটকে রয়েছে। মন্ত্রী জানান, তিন মাস আগে যেগুলো বুক করা হয়েছে সেগুলো ছাড় দেওয়া হবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস : গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় সরকার আচমকা জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কা তার বিয়ের পর থেকে লোদি রোডের বাংলোয় থাকতেন। আবাসন মন্ত্রণালয়ের যুক্তি : প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বর্তমানে কেন্দ্রের বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর অধীনে নন, তাই তাকে এই বাংলো দেওয়া যাবে না। গত বছরই কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষা আইন সংশোধন করে নিয়ম করেন কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা রক্ষী পাবেন। অন্য কেউ নয়। আগে নিয়ম ছিল প্রত্যেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তাদের পরিবার এই রক্ষী পাবেন।