শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

উপসর্গ নিয়ে ১৭ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গতকাল আরও ছয়জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দুজনের করোনা পজিটিভ ছিল এবং চারজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সব মিলে উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় পাঁচজন, রাজশাহীতে দুজন, বরগুনায় দুজন, ফরিদপুরে দুজন, ঝালকাঠিতে একজন ও পটুয়াখালীতে একজন মারা গেছেন। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু ৬ জনের : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার বিকাল থেকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন করোনা পজিটিভ। মৃতরা হলেন- নিখিল মন্ডল (১৯), সজল (৩২), জামাল উদ্দিন (৬৫), নুরুন্নাহার (৫৭), ইসকান ফকির (৭০) ও ফাতেমা (৩৯)। জেলায় জেলায় ১৩ জনের মৃত্যু : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী- গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, উপসর্গ নিয়ে করোনা ওয়ার্ডে মৃত ব্যক্তিরা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনার ইউসুফ আলী (৪৯), কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়ার নাবিল (২৮), কুমিল্লার দেবিদ্বারের তালতলা গ্রামের হাজী জব্বার (৮০), কুমিল্লা সদরের বলরামপুরের রিনা আক্তার (৫২) ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুদু মিয়া (৬৪)। রাজশাহীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম ও রামপদ নামের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে রাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামপদের মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. ফখরুল ইসলাম (৮৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে রামেক হাসপাতালে মারা গেছেন। অধ্যাপক ড. ফখরুল রাজশাহী নগরীর কাজীহাটা এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া রামপদের বাবার নাম মৃত রাসুপদ। বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়। করোনার উপসর্গ থাকায় বুধবার বিকালে তাকে হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। বরগুনার আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. কুদ্দুস মোল্লা (৭০) করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বুধবার রাতে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বরগুনার বেতাগীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ইমামের (৭০) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর ব্যথা নিয়ে নিজ বাসায় তিনি মারা যান। ফরিদপুরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে ফরিদপুরে করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এর মধ্যে একজন হলেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার (৫২)। বুধবার রাত ৩টার দিকে মারা যান তিনি। এ ছাড়া ওই রাতেই মারা গেছেন ফরিদপুর শহরের ৯৪ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি মঙ্গলবার ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পুলিশ সদস্য ফিরোজ সিকদার (৫০) জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে মাওয়া ফেরিঘাটে তার মৃত্যু হয়। সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চার দিন আগে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর গলাচিপায় যাওয়া এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল সকাল ৬টার দিকে তিনি উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান। ওই ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছর। তিনি ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর