শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

জুনে ১০১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে গত জুন মাসে ১০১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর মোট নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু। এ ছাড়া ৬২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ। গতকাল সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, জুন মাসে মোট ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যার মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ১০১ জন। শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৯ জন আর গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৫ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সাতজনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে তিনজন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছয়জন। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে একজন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে চারজন, এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪টি। পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় একজনকে। বিভিন্ন কারণে ৬২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে পাঁচজনকে।

গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে দুজনকে এবং একজন গৃহপরিচারিকা আত্মহত্যা করেছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে সাতজনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ জন। উত্ত্যক্ত করা হয় পাঁচজনকে। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে একজন। বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে একজন। এ ছাড়া অন্যভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুজন নারী ও শিশু। মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালেও যৌন হয়রানি, নারীর প্রতি সহিংসতা, কিশোরী ও শিশুদের ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা গভীর উদ্বেগের। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে তিনি বলেন, বিচারহীনতায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। এসব বন্ধে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপের প্রত্যাশা করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর