রাজধানীর আদাবরে সাদিয়া নামে চার মাসের এক শিশুর গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে আদাবর বাজারের পানির পাম্পের পাশে একটি বস্তির ঘর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুজ্জামান জানান, পানির পাম্পের পাশে একটি বস্তি ঘরে শিশুটি তার বাবা-মার সঙ্গে থাকত। সেই ঘরের বিছানায় শোয়া অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির গলার সামনের দিকে কাটা ছিল। হত্যাকান্ডের বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। তবে ঘটনার সময় শিশুটির মা মুর্শিদা বেগম রান্নাঘরে ও বাবা শাজাহান মিয়া বাইরে ছিলেন। এখনো হত্যার ক্লু পাওয়া যায়নি, কয়েকটি দিকে সন্দেহ রেখে তদন্ত চলছে। রাজধানীতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলন্ত লাশ : রাজধানীর মুগদায়  শিরিন আক্তার (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় মুগদার মান্ডায় ভাড়া বাসার নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ থাকাবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে ছিল ওই নারীর লাশ। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

ঢামেকে ওই নারীর মা অন্তু বেগম জানান, তার মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। প্রায় একমাস যাবৎ তার একটু মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, এজন্য সে ঘরের মধ্যে আসবাবপত্র ভাঙচুর করত। গতকাল সকালে ঘরের মধ্যে কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করাতে তার স্বামী সোহেল রানা রুম থেকে বের হয়ে পাশেই তাদের বাসায় বিষয়টি জানাতে আসেন। সোহেল ওই এলাকায় ডিস লাইন সংযোগের কাজ করেন। এ সময় সোহেল তাদের জানান- ‘আপনার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখান।’ তারা তাকে গ্রামে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে চেয়েছিলেন। এরপর তারা এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। আশপাশের লোকজনসহ দরজা ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। দরজা না খোলায় পরে দরজা ভেঙে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।