শিরোনাম
রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ঢাকায় একজন, কুড়িগ্রামে একজন, রাজশাহীতে দুজন, কুমিল্লায় ছয়জন, দিনাজপুরে একজন, গোপালগঞ্জে একজন, বরিশালে একজন, চাঁদপুরে একজন, বগুড়ায় একজন ও ফরিদপুরে একজন রয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করাও হচ্ছে। অনেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা (পিআরএল) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব খুরশিদ আলম। শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা পরীক্ষার জন্য মৃত্যুর পর তার নমুনা নেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে তারা মারা যান। তারা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ছিলেন। মৃত দুজন হলেন রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা এলাকার মেহের উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪৫) ও বোয়ালিয়া থানা এলাকার মামুন-অর-রশীদের ছেলে আবদুল ওয়াহেদ (৫৭)।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক শিক্ষক মারা গেছেন। তিনি ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের গোবধা গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন মহিলা। কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১১০ জন।

করোনা উপসর্গ নিয়ে দিনাজপুরের কাহারোলে আবদুল খালেক (৩৫) নামে এক চা বিক্রেতা মারা গেছেন। তাকে স্থানীয়রা কবরস্থানে দাফন করতে বাধা দেন। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দিনাজপুর সেলের স্বেচ্ছাসেবীরা নামাজে জানাজা শেষে গতকাল দুপুরে দাফন করেন। আবদুল খালেক (৩৫) শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে কাজী আলমগীর নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অপূর্ব বিশ্বাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন রোগীর স্বজনরা। গতকাল টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সুনিল কুমার (৫০)। তিনি ৫ জুন দুপুরে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার করোনা নেগেটিভ ছিল।

চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন একজন। তার নাম কেরামত আলী (৫০)। বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার নাউরীর ছোট হলদিয়া গ্রামে। জ¦র, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল ভোর ৫টায় আইসোলেশনে ভর্তির পর সকাল সাড়ে ৮টায় মারা যান তিনি।

ফরিদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এক নারী। গতকাল সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বগুড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আবু তাহের (৫৪)। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর