রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ভারতের আগ্রাসী প্রতিরোধে পিছু হটল হতবাক চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের আগ্রাসী এবং তীব্র প্রতিরোধের কারণে লাদাখের উত্তরবর্তী অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা চালানো চীন এখন হতবাক। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়ায় পিছু হটেছে চীন। লেহের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতীয় সেনাদের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবাক করা সফর হজম করতে পারছে না চীন। এ কারণেই চীনের সরকারি প্রতিক্রিয়াও হারিয়ে গেছে হঠাৎ করেই। সুরও হয়েছে নরম।

করোনা মহামারী-পরবর্তী বিশ্বে চীনে বৈশ্বিক আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মোদির হুঁশিয়ারি বার্তাতেও থমকে গেছে চীন। চীনের নাম না নিয়েই মোদি সেখানে বলেছেন, সম্প্রসারণবাদের যুগ শেষ, এটি উন্নয়নের যুগ। ইতিহাস জানে যে প্রসারণবাদী শক্তিগুলো হেরে গেছে বা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। মোদি সেখানেই থামেননি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘দুর্বলরা কখনই শান্তি অর্জন করতে পারে না, সাহসীরা তা করতে পারে।’ সম্প্রসারণবাদের উল্লেখটি মোদির কৌশলগত আঘাত। তিনি সম্প্রসারণবাদ বলতে শুরু লাদাখের ভারতীয় অংশে চীনের অননুমোদিত প্রবেশের কথাই বলেননি। বরং সীমান্ত ভাগাভাগি করা সব প্রতিবেশীর সঙ্গে চীনের বিরোধকে ইঙ্গিত করেছেন। এক বাক্যে বলতে গেলে, সীমান্ত বিরোধ ইস্যুতে হয়রানির শিকার হওয়া ২১টি পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চীনকে একঘরে করতে চায় ভারত। মোদির এই আগ্রাসী সফরের পর সারা দিনই চুপচাপ ছিল চীন। এমনকি পরিচিত চীনা সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলেও চুপ হয়ে যায়। পরে একটি অবাস্তব বিবৃতি দেওয়া হয় চীনের পক্ষ থেকে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘ভারত ও চীন সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে উত্তেজনা কমাতে যোগাযোগ ও আলোচনা করছে। কোনো পক্ষেরই এই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপে অংশ নেওয়া উচিত নয়।’ গত ১৫ জনুু ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার এক দিন পর চীন যা বলেছিল, তার তুলনায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এবারের বক্তব্য পিছু হটারই শামিল। সেদিন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর মুখপাত্র জাং শিউলি দাবি করেছিলেন, ‘গ্যালভান উপত্যকা অঞ্চলটি সব সময়ই চীনের সার্বভৌমত্বের অংশ।

সর্বশেষ খবর