ভরা মৌসুমের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নদী ও সাগর মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে জেলেদের জালে। এতে জেলে ও মৎস্যজীবীদের মুখে ফুটেছে আনন্দের ঝিলিক। মৎস্যজীবীরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে মধ্যম আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বেশি। বড় ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে, তবে পরিমাণে কম। এদিকে আগামী ২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের মেয়াদ শেষ হলে জেলেদের জালে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে এবং তখন সরবরাহও বাড়বে বলে আশা মৎস্য কর্মকর্তাদের।
গত ৩০ জুন জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে শুরু হয় ইলিশ মৌসুম। এর মধ্যে ২ দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ আবহাওয়া উপযোগী থাকায় মেঘনাসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য নদী এবং সাগর মোহনায় জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। গত শনিবার ৫০০ মণের বেশি এবং গতকাল বরিশাল পোর্ট রোডের মোকামে এসেছে ৭০০ মণেরও বেশি ইলিশ। এতে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে বরিশালের পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামে। পোর্ট রোডের ইলিশ আড়তদার মো. নাসিরউদ্দিন জানান, গতকাল বরিশাল মোকামে দেড় কেজি আকারের প্রতি মণ ইলিশ ৫০ হাজার, ১ কেজি ২০০ গ্রাম আকারের প্রতি মণ ৩৮ থেকে ৪০ হাজার, এক কেজি আকারের প্রতি মণ ৩৪ হাজার, এলসি (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) প্রতি মণ ২৯ হাজার, ভেলকা (৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম) প্রতি মণ ২০ হাজার এবং গোটলা আকারের প্রতি মণ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে সামান্য বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে। জেলা মৎস্য দফতরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, পয়লা জুলাই থেকে ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। এখন নদ-নদীতে ইলিশ শিকারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আগামী ২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে গেলে সাগরেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। তখন মোকামগুলো ইলিশে সয়লাব হবে।
