সহকারী সার্জন পদে শিগগিরই আরও ২ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে এ নিয়োগ দেওয়া হবে। এঁরা শুধু করোনা মোকাবিলায় কাজ করবেন। তবে করোনাকাল শেষ হয়ে গেলে তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্যাডার পদে পদায়ন করা হবে। এ নিয়োগের জন্য পদ সৃজনের বিষয়ে ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সারসংক্ষেপ (সামারি) তৈরির কাজ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেটে। একই সঙ্গে সারা দেশের করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোর ম্যাপিং করা হয়েছে। এ অবস্থায় সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনা চিকিৎসার পৃথক ইউনিট প্রস্তুত করা হলেও সে তুলনায় চিকিৎসক নেই। সংকট আছে নার্সেরও। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সরকার করোনা রোগীদের চিকিৎসার জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র জানান, জরুরি ভিত্তিতে নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য পদ সৃজনের বিষয়ে সম্প্রতি একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর ২ জুলাই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ বিষয়ে একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার সহকারী সার্জনের জন নবম গ্রেডে পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাডার পদ সৃষ্টি করতে প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন নিতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই এ নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূতাপেক্ষভাবে প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন দেখানো হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা সংযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কভিড-১৯ হাসপাতালে পদায়িত হবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসূফ হারুন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার চিঠি পেয়েছি। এখন একটি সামারি তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠাব। এ নিয়োগ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে।’ প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকলে সরকার চিকিৎসার জন্য গত মে মাসে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) অপেক্ষমাণদের মধ্য থেকে দ্রুত ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়।