মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

কুষ্টিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে বিল্লাল হোসেন (৪৮) নামে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল সান্দিয়ারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন ও ডাসা শিল্পপতি আল মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার সকালে সান্দিয়ারা বাজারে দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর  ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুহুর্মুহু ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুরো বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। পরে তারা বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পান্টি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেনের গলায় একটি বুলেট বিদ্ধ হয়। এ ছাড়া তার শরীরে আরও একাধিক বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। পরে গুরুতর অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পুলিশের দাবি, বিল্লাল রাবার বুলেট বিদ্ধ হলেও তার মৃত্যু হৃদরোগে হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হন। আহতদের কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া  জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় দুই দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ায়। তারা পুলিশের ওপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের নিবৃত করতে বাধ্য হয়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। ঘটনায় নিহত বিল্লাল হোসেনের শরীরে রাবার বুলেট বিদ্ধ হলেও তার মৃত্যু হৃদরোগজনিত কারণে হয়েছে বলে পুলিশ সুপার দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর