যশোরে পুলিশের হাতে নির্মম নির্যাতনের কারণে ইমরান হোসেন নামে এক ব্যক্তির দুটি কিডনিই নষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে যশোরের জেলা ও দায়রা জজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সোমেরন্দ্রনাথ বিশ্বাস। এর আগে গত ১৮ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ সংক্রান্ত রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৮ জুন যশোর জেলার সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে ইমরান হোসেনকে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অফিসার কর্তৃক নির্মম প্রহারের কারণে তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে বলে পরদিন (৯ জুন) বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ইমরান বর্তমানে যশোরের কুইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন বলে জানা যায়, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এবং ইমরানের মৌলিক অধিকারের লংঘন। রিট আবেদনে ইমরানের ওপর নির্মম প্রহারের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ইমরানের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং তার যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়ভার বিবাদীদের বহন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।