বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে

-মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু

নজরুল মৃধা, রংপুর

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে

করোনাকে সঙ্গী করেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বলে মনে করেন রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু। তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পাওয়ায় বিদ্যমান অনেক শিল্প কারখানার উৎপাদন কমে গেছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। অর্থনীতির সব খাতই আজ মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে অর্থনীতির এমন দুর্গতি বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচাতে করোনাকে সঙ্গী করেই অর্থনীতির চাকা সচল করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে রংপুর চেম্বারের পক্ষ থেকে তিনি বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রংপুর বিভাগে গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি। করোনাকালে দেশের অসংখ্য গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হওয়ায় রংপুর অঞ্চলের হাজার হাজার গার্মেন্টকর্মী আজ বেকার। অর্থনৈতিক সংকট রংপুর অঞ্চলের অর্থনীতিকে আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। তিনি বলেন, রংপুর বিভাগের অর্থনীতি মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই রংপুর অঞ্চলের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হলে কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। এখন শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকলেও মাঠে কাজ করছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষক। করোনা দেশের কৃষি ও কৃষককে থামাতে পারেনি। থেমে নেই কৃষিপণ্য উৎপাদন। রংপুর অঞ্চলের গার্মেন্টকর্মীরা কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরছে। মধ্য আয়ের মানুষরাও চাকরি হারিয়ে গ্রামে চলে আসছে। অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতিও চাপের মুখে পড়েছে। তাই রংপুর অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি রংপুর বিভাগের মানুষের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দ্রুত সরকারকে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, করোনার ছুটিতে বহুমাত্রিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে অনানুষ্ঠানিক খাতের ব্যবসা। বিশেষ করে ফেরিওয়ালা, হকার, ভ্যানে পণ্য বিক্রেতা, চা-পান-সিগারেট, খুদে দোকান, মুদি দোকান, ক্ষুদ্র হোটেল, রেস্তোরাঁ, মাঝারি পাইকারি ব্যবসা। সারা দেশে এ ধরনের ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৮৬ লাখের ওপরে। তাদের ওপর নির্ভরশীল সাত কোটি ৮০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা আজ থমকে গেছে। যারা চাকরি করত, অনেকের চাকরি চলে গেছে। অনেকের চাকরি আছে, বেতন পায় না। অনেকে পুরো বেতন পাচ্ছে না, তাই জীবন-জীবিকা বাঁচাতে দ্রুত অর্থনীতির চাকা সচল করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর