বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কুমিল্লায় চারজন, পটুয়াখালীতে একজন, বগুড়ায় একজন, সাতক্ষীরায় দুইজন ও মৌলভীবাজারে একজন মারা গেছেন। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করাও হচ্ছে। অনেকই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

জেলায় জেলায় ৮ জনের মৃত্যু : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চারজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন এসব তথ্য জানিয়েছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাতাবাড়িয়া এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে শহীদুল ইসলাম ((৪২), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার চুলহাশ এলাকার সফর আলীর ছেলে ওয়ারিশ মিয়া (৬০), কুমিল্লার সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার আরিফুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান (৫০) এবং আইসিইউতে মারা গেছেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ছোটগাড় এলাকার আবদুল মান্নানের মেয়ে সালেহা বেগম (৬৫)। পটুয়াখালীর গলাচিপায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ফজলুর রহমান প্যাদা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। গলাচিপার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আহম্মেদ আলী প্যাদার  ছেলের ফজলু। উপসর্গ নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গাবতলী উপজেলার মরিয়া এলাকার আব্দুল কালাম (৫০) মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কভিডের উপসর্গ নিয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে তারা মারা যান।

 মৃত অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীর (৬৫) বাড়ি জেলার শ্যামনগর উপজেলায়। অপরজন এক নারী (৬০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাসিন্দা। ঝিনাইদহে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে আরেকজন মারা গেছেন। গতকাল সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান। মৃত রতন মুন্সি (৪৮) কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের বাসিন্দা।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির (৩০) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে চারটায় ওই হাসপাতালে ভর্তির আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনি মারা যান। তার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি চা-বাগান এলাকায়।

সর্বশেষ খবর