শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

নতুন রূপে সেজেছে শালবন বৌদ্ধবিহার

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

নতুন রূপে সেজেছে শালবন বৌদ্ধবিহার

কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। করোনায় সাধারণ ছুটির পর থেকে বন্ধ রয়েছে। সেখানে এখন নেই দর্শনার্থীদের কোলাহল। বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা। শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর আঙিনায় প্রথম দিকে ঘাস বড় হয়ে সৌন্দর্য ফিকে হয়ে আসে। তবে সম্প্রতি ঘাস কেটে, ফুল গাছ লাগিয়ে এর সৌন্দর্য বাড়ানো হয়েছে। নতুর রূপে সেজেছে শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দাবি করোনার অবসরে এর সৌন্দর্য বাড়ানো হয়েছে। এটি খুলে দেওয়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তারা কাজ শুরু করতে পারবেন। এতে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে।

সূত্র জানায়, কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবে শালবন বৌদ্ধবিহারে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। শালবন বৌদ্ধবিহারসহ পাশের রূপবানমুড়া, কোটিলা মুড়ায় আশপাশের জেলা ও সারা দেশের দর্শনার্থীরা ভিড় করত।

কুমিল্লা মহানগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লায় আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। এখানে অষ্টম শতকের      পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি জাদুঘর। এতে সরগরম থাকত এ অঞ্চল। সরেজমিন দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকায় কোনো দর্শনার্থীর আনাগোনা নেই। গেটে তালা মারা। ভিতরের ঘাস কেটে ছোট করা হয়েছে। তাল গাছে বাবুই পাখির দল কুজনে মুখর। ফুটে আছে বর্ণিল সব ফুল। লাগানো হয়েছে রঙিন পাতাবাহার গাছ। নগরীর রাজগঞ্জের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসাইন বলেন, শালবন বৌদ্ধবিহার এলাকাটি অনেক সুন্দর। পুরাকীর্তি দেখার সঙ্গে এখানে সবুজের সতেজতায় প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। করোনার কারণে সেটি বন্ধ রয়েছে। একে ঘিরে প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হলে পর্যটক আকর্ষণে কুমিল্লা আরও বেশি সফল্য অর্জন করবে। কুমিল্লা নগরীর কাপ্তান বাজারের আবুল কালাম বলেন, শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো বেড়ানোর দারুণ জায়গা। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।

  প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান জানান, এখানে সব সময় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকত। এখন করোনার কারণে শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘর বন্ধ রাখা হয়েছে। এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ফুল ও রঙিন পাতাবাহার গাছ লাগানো হয়েছে। অবসরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে খালি জায়গায় সবজি চাষ করছি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে গেলে এখানে আবার দর্শনার্থীর ঢল নামবে বলে আশা করছি।

সর্বশেষ খবর