মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা আক্রান্তে রেকর্ড ফ্লোরিডায়, বাংলাদেশিরা ভালো আছেন

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

করোনাভাইরাস সংক্রমণে রবিবার রেকর্ড করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্টেট ফ্লোরিডা। সেদিন সেখানে ১৫ হাজার ৩০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল নিউইয়র্কে ৪ এপ্রিল। সেদিন সেখানে ১২ হাজার ২৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হন। নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী রিপাবলিকান স্টেট গভর্নর রন ডি সেন্টিসের গোঁয়ারতুমিকে দায়ী করা হচ্ছে। ফ্লোরিডার হাসপাতালে সিট ফুরিয়ে গেছে। চলছে আইসিইউ সংকট। সেখানে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বাস করেন। তারা সবাই ভালো আছেন বলে সেখানকার কমিউনিটি লিডার ও বাই-স্টেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান জানিয়েছেন। উ™ভূত পরিস্থিতির আলোকে সাউথ ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির সংক্রমণ রোগ-বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন টনি বলেন, হাসপাতালে ঠাঁই নেই। চিকিৎসক-নার্সরাও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যেই রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। অধ্যাপক টনি উল্লেখ করেন, মার্চ-এপ্রিলে নিউইয়র্কের ভয়ংকর পরিস্থিতি এখন ফ্লোরিডায় বিরাজ করছে। এদিকে, আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্লোরিডার সব স্কুল খোলার নির্দেশ জারি করেছেন স্টেট গভর্নর। স্টেট গভর্নর রবিবার বলেন, ‘আমরা যদি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হোম ডিপোট, ওয়ালমার্ট খোলা রাখতে পারি, তাহলে স্কুল খুলতে পারব না কেন? রাজনৈতিক কর্মকা  চালাতে দোষ কোথায়? উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসার বাইরে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সবখানে। অথচ ফ্লোরিডায় তার কিছুই অনুসরণ করা হচ্ছে না। ট্রাম্পের অনুসারী রিপাবলিকান স্টেট গভর্নররা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় স্টেটগুলোতে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যু। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে দেখে বেশ কটি স্টেটে মাস্ক বাধ্যতামূলক এবং বার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফ্লোরিডার গভর্নর বলেছেন, করোনা টেস্টের হার বেড়েছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু  নেই। সবাই সজাগ থাকলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টাইলে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সংক্রমণের হার বেড়েছে ৩৭ স্টেটে। এরমধ্যে আলাবামা, আরিজোনা, ফ্লোরিডা, মিসিসিপি, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ডেকটা, টেক্সাস ও টেনেসির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এসব স্টেটে ‘ঘরে থাকার নির্দেশ’ অপসারণ করা হয়েছে চিকিৎসা-বিশেষজ্ঞদের অনুরোধ উপেক্ষা করে। ব্যবসা-বাণিজ্যও দ্রুত চালু করা হয়। এর পরিণতি ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।

সর্বশেষ খবর