অপরাধের দায়ে সাজা ভোগ করার পরও বাংলাদেশিসহ নয়জনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় সাজাভোগ করে বের হওয়ার পর পরই নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিন থেকে ১৩ জুলাই ৫১ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশিসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এবং এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড রিমুভ্যাল ওপারেশন্স (ইআরও) এজেন্টরা। কারাগারের পাশ থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করেনি। আইন অনুযায়ী এ জাতীয় অপরাধে অভিযুক্তরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে পারেন না। অভিবাসন কর্মকর্তারা বলেন, ওই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অনেক আগেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ জারি রয়েছে। এমন অবস্থায় তিনি ১৪ বছরেরও কম বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে ছিলেন। ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলেন, মেক্সিকান এলভারো কুয়াটেট-জোছিকেল (৫৭), মাইগুয়েল গুজম্যান-রেইনা (৫৮), ডোমিনিকান জোনাথন ডি জিসাস- লোপেজ (২০)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অন্যরা হলেন ৪৮ বছর বয়স্ক হাইতিয়ান, ৫১ বছর বয়সী ত্রিনিদাদিয়ান, ২৪ বছরের ইকোডোরিয়ান, ২৬ বছর বয়সী গুয়াতেমালান এবং ৫৬ বছর বয়সী ফিলিপিনো। এ প্রসঙ্গে ইআরও’র নিউইয়র্ক ফিল্ড অফিসের পরিচালক থমাস আর ডেকার বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে ‘স্যাঙ্কচ্যুয়ারি’ সিটির অজুহাত দেখিয়ে নিউইয়র্কের পুলিশ এসব দন্ডিতকে আমাদের কাছে হস্তান্তরের পরিবর্তে মুক্তি দিয়েছিল। এভাবে তারা মহানুভবতার নামে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায় নিউইয়র্ক সিটিকে। এই ৯ জনকে শিগগিরই নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
