চট্টগ্রাম মা-শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সুলতানা লতিফা জামান আইরিন (৩৪) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া তিনি চট্টগ্রামের এগারোতম চিকিৎসক। এর আগে চট্টগ্রামে আরও দশজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ডা. আইরিন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মইজ্জুল আকবর চৌধুরীর স্ত্রী। তাদের একটি তিন বছর বয়সী কন্যা সন্তান আছে। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ১৪তম ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। গত কয়েক মাস ধরে চমেকে উচ্চতর কোর্সে পড়াশোনা করছিলেন। চার মাস ধরে ছুটিতে ছিলেন। এ অবস্থায় তিনি করোনায় সংক্রমিত হন। চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, চমেক হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তবে তার অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার ফুসফুস বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ডা. আইরিন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত শুক্রবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। টানা পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল দুপুরে তিনি মারা যান। গতকাল বিকাল চারটায় চমেক মাঠে তার জানাজা শেষে দাফন করা হয়।