শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সবজির বাজার গরম দাম বাড়ছে মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সবজির বাজার গরম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু-টমেটো-কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ প্রায় ২০০, টমেটো ১০০ আর আলু ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল। কিছুটা কমেছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম।

গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, ফকিরাপুল, মুগদা, গোড়ান, খিলগাঁও ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। এসব বাজারে গতকাল প্রতি কেজি পটোল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০, করলা, উচ্ছে, কচুর ছড়া ৫০-৬০, কচুর লতি (ছোট) ৪০-৫০, বড় ৬০-৭০, বেগুন ৪০-৮০ ও মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকায়।

প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬, ছোট আলু ৪৫, টমেটো (ছোট) ৬০-৭০, টমেটো (ফ্রেশ) ১০০-১২০ টাকা। তবে দাম কমেছে বরবটি, পেঁপে ও ঢেঁড়সের। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২০০ টাকা। ঢেঁড়স ৩০-৪০, পেঁপে, কাঁকরোল ৫০-৬০, মুলা ৩৫-৪০ টাকা। প্রতি হালি লেবু ১২-১৫, প্রতি পিস লাউ ৬০-৭০, জালিকুমড়া ৫০ টাকায়।

দাম অপরিবর্তিত আছে কলা, বড় কচু, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা ও মিষ্টিকুমড়ার।     আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। বর্তমানে এসব বাজারে প্রতি আঁটি কচুশাক বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১০-১৫, লালশাক ১৫, মুলাশাক ১৫-২০, পালংশাক ২০, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০-৪০, পুঁইশাক ২০ টাকা। প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪০-৪৫, রসুন ১০০-১২০, আদা (মানভেদে) ১২০-১৩০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন ১০০ টাকা। খোলা সরিষার তেল ২০০ টাকা লিটার। এদিকে প্রতি কেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮, মিনিকেট পুরান ৬০, বাসমতী ৬০-৬২, গুটি ৪২-৪৪, পাইজাম ৪৬, স্বর্ণা ৪২-৪৪, বিআর আটাশ ৪৬-৪৮, আতপ ৬৫-৬৬, মোটা ৪২, এক সিদ্ধ ৪০, পোলাওর চাল ১০০-১০৫ টাকা। প্রতি কেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫, অ্যাঙ্কর ৫০, দেশি মসুর ১২০, (মোটা) ৮০ টাকা কেজি। সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ভিন্নমত দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সিজন না হওয়ায় বর্তমানে প্রতি বছর এমন বাড়তি দাম থাকে। আর ক্রেতারা বলছেন, সিজন না হলেও কোনো সবজির ঘাটতি নেই। তবে কেন দাম বাড়বে? মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ও কাতল ৩০০-৪৫০, তেলাপিয়া ছোট ১১০-১৩০, বড় ১৮০-২০০, সিলভার কার্প ১৪০-১৬০, আইড় ৪৫০-৬০০, মেনি ৪০০-৫০০, বেলে প্রকারভেদে ৩৫০-৪৫০, বাইন ৪০০-৫০০, গলদা চিংড়ি ৬০০-৮০০, পুঁটি ২০০-৩৫০, পোয়া ৪০০-৪৫০, মলা ৩২০-৩০০, পাবদা ৫০০-৬০০, বোয়াল ৪৫০-৫০০, শিং ৪০০-৬০০, দেশি মাগুর ৪০০-৬০০, পাঙ্গাশ ১৬০-২০০, চাষের কই ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ৭০০-৭৫০ এবং ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশ ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাজারগুলোয় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০, মহিষের মাংস ৫৮০, খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এ ছাড়া ১ কেজি ওজনের প্রতিটি কক মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ ও দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর