সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

৬ লাখ মৃত্যু ছাড়িয়ে পার হলো হতাশার মাইলফলক

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৬ হাজার। গার্ডিয়ান জানায়, এর মধ্যদিয়ে এদিন হতাশাজনক মাইলফলকটি পার হয়েছে।

খবরে বলা হয়, এর মধ্যে প্রায় এক চতুর্থাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। শনিবার দেশটিতে কভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু, উভয় দিকে বিশ্বে শীর্ষে আছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের পর ৭৮ হাজার ৭৭২ জনের মৃত্যু নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্রাজিল আর ৪৫ হাজার ৩৫৮ মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে যুক্তরাজ্য। ১০ মে-র পর থেকে শনিবার সবচেয়ে বেশি, ৭৩৬০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। জুলাইয়ে এ পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮০০ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যা জুনের দৈনিক গড় ৪ হাজার ৬০০ থেকে কিছুটা বেশি। এর মানে চলতি মাসে প্রতি ঘণ্টায় ২০০ জন বা প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। এ হিসাব ১ জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত গড়ের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

এক দিনে শনাক্ত রোগীর রেকর্ড : বিশ্বে আরও ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা ১০০ ঘণ্টাতেই শনাক্ত নতুন ১০ লাখ রোগী। ফলে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় যে রেকর্ড শুক্রবার হয়েছিল, শনিবারের সংখ্যা তাকেও ডিঙিয়ে গেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সবচেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। শনিবার এক দিনেই বিশ্বে এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩৬০ জনের, যা ১০ মের পর সবচেয়ে বেশি। শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এখন প্রতিদিনই গড়ে ৩০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ২৩৭ জনের। কেবল শনিবারই সেখানে ৩৪ হাজার ৮৮৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, ৬৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে এখনো মাসখানেক বাকি। 

চীনের উরুমকিতে যুদ্ধ পরিস্থিতি :  নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকিতে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে নতুন করে ১৭ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেখানকার মানুষজনের চলাচলের ওপর আরোপ করা হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। সেখানকার সব ফ্লাইট চলাচল ও পাতাল রেলসেবা স্থগিত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরো শহর এখন একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সব ধরনের দলবদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’ জনসমাগম কমাতে এরই মধ্যে বাসাবাড়িতে অতিথিদের আগমনে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের শহরের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। যদি শহরের বাইরে যেতেই হয়, তবে তাদের করোনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর