মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজধানীর অনেক রাস্তা পানির নিচে, ভোগান্তি

মুষলধারে বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর অনেক রাস্তা পানির নিচে, ভোগান্তি

কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেটে গতকাল বৃষ্টির পানি ঢুকে যায়। দুর্ভোগে পড়েন ব্যবসায়ীরা -রোহেত রাজীব

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে গতকাল। রবিবার দিনগত রাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। গতকাল সকালে বৃষ্টি শুরু হয় মুষলধারায়। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক রাস্তা ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাজধানীর বাইরেও দেশের বেশির ভাগ জেলায় গতকাল বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকালের বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। দিনের বিভিন্ন সময় ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতেও ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। গতকাল সকালে দেখা যায়, বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সংযোগ সড়ক তো বটেই, প্রধান প্রধান সড়কেও পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও সড়কে হাঁটুপানি জমে থাকতে দেখা যায়। সকালে রাজধানীর বিভিন্ন প্রধান সড়কে পানি মাড়িয়ে যানবাহন চলতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও পানিতে যানবাহন বিকল হতেও দেখা গেছে। এর মধ্যে সিএনজি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। সড়কে নেমে অফিসমুখী নগরবাসী দুর্ভোগে পড়েন। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে, পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বৃষ্টির কারণে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীতে যানজটের মুখোমুখি হতে হয়েছে নগরবাসীকে। ধানমন্ডি ২৭ ও সংসদ ভবনের সামনের এলাকায় পানি জমে আসাদ গেটে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। মুষলধারায় এই বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, গ্রিন রোড, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, রামপুরা, বাড্ডা, শান্তিগর, মালিবাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষও।

কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট সড়কেও হাঁটুপানি জমে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হওয়া এ পানির কারণে নগরবাসীকে যানজটে নাকাল হতে হয়। কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারে হাঁটুপানি জমে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। শাক-সবজি, ফলমূল বিক্রেতারা তাদের পণ্য নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন। কারওয়ান বাজার ২ নম্বর সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অনেক দোকানেও হাঁটুপানি ঢুকে গেছে। কাঠের চৌকি বা বেঞ্চে তারা পণ্য তুলে পানিতে ভেজা থেকে বাঁচিয়েছেন।

বাংলামোটরে পুকুরপাড় এলাকায় বাস করেন সরকারি কর্মকর্তা আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ঘুম থেকে উঠে দেখি চারদিকে বৃষ্টির পানি। পানি মাড়িয়েই কাজে যেতে হয়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় গ্রিন রোডের আল আমিন রোড। এ রোডের আশপাশে বাস করা নগরবাসীরা পানি মাড়িয়েই দৈনন্দিন কাজে যোগ দেন।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গত সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে জানান, রাজধানীতে গতকাল ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের বেশির ভাগ সকালে হয়েছে। গত সকালেই ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টাঙ্গাইলে সবথেকে বেশি ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে অধিদফতর।

গত সন্ধ্যায় আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সর্বশেষ খবর