শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে পাষ- স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ জোসনা ৭ দিন চরম যন্ত্রণায় ভুগে অবশেষে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারি হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূ জোসনা বেগম য়(২২) মারা যান। মৃত্যুর পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপসাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফরিদপুর থানায় মামলা হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি। জোসনার ভাই জলিল শেখ জানান, গত দেড় বছর আগে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোরাদাহ গ্রামের লতিফ মোল্যার পুত্র রাশেদ মোল্যার সঙ্গে  জোসনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, সোয়া ভরি স্বর্ণ যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার বোনকে অত্যাচার করতে থাকে রাশেদ। মাস ছয়েক আগে এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া লাগলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিটমাট কওে দেন। এরপরও বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে রাশেদ এবং তার ভাইসহ পরিবারের সবাই। রাশেদ ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রী জোসনাকে চাপ  দেয়। টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে জোসনার ওপর নেমে আসে চরম নির্যাতন। ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী রাশেদ মোল্যা ও তার ভাই হাসিব মোল্যা কেরোসিন ঢেলে জোসনার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। জোসনার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে ওইদিন বিকালে অগ্নিদগ্ধ  জোসনাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ৭ দিন অগ্নিদগ্ধ জোসনা অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগে অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায়। জোসনা কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদাহ গ্রামের রাশেদ মোল্যার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের খলিল মন্ডল হাট এলাকার আবদুস ছালাম শেখের মেয়ে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, আমরা আসামি ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর