শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বিপণিবিতানগুলোয় ভিড় বাড়ছে ঈদের কেনাকাটায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিপণিবিতানগুলোয় ভিড় বাড়ছে ঈদের কেনাকাটায়

করোনার প্রভাবে ঈদুল ফিতরে দেশের বড় বড় বিপণিবিতান বন্ধ থাকায় অনেক ক্রেতা নতুন পোশাক কেনেননি। তবে ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীর বড় বড় শপিং মল, মার্কেট, ফুটপাথ সবখানে জমে উঠেছে কেনাকাটা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বিঘ্নে শপিং করতে পারছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, পীর ইয়ামেনী মার্কেট, গাউছিয়া, ফার্মগেট, মিরপুর, গুলিস্তানসহ বেশ কিছু এলাকায় ক্রেতাদের ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা  করতে দেখা গেছে। গতকাল ছুটির দিনে রাজধানীবাসী ঈদের কেনাকাটা করতে সকাল থেকেই বেরিয়ে পড়েন বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের সাধের সঙ্গে সাধ্যের সমন্বয় করে কেনাকাটা করেন। কারওয়ান বাজারে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে গতকাল ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এক পোশাকের দোকানের বিক্রয়কর্মী শামীম হোসেন জানান, করোনার প্রভাবে গত কয়েকদিন ক্রেতাসমাগম কম থাকলেও বর্তমানে সন্তোষজনক। কড়া নির্দেশনা থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্বিঘেœ কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। প্রতিটি বিপণিতে প্রবেশের আগেই হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত মাস্ক ছাড়া কাউকে এ শপিং মলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আফসানা সুরভি নামে এক ক্রেতা গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ঈদে নতুন পোশাক কেনা হয়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের ঈদের কেনাকাটা করছি। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে সামাজিক দূরত্ব মেনে স্বচ্ছন্দেই ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পোশাক কিনছেন। ঈদ উপলক্ষে অনেক বিপণি পোশাকের ওপর ছাড় দিয়েছে বলেও জানান সুরভি।

ক্রেতাসাধারণের স্বার্থে সপ্তাহে সাত দিনই খোলা রয়েছে বৃহত্তম এ শপিং মল। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বিঘেœ শপিং করছেন ক্রেতারা।

এ ছাড়া গুলিস্তান, ফর্মগেট এলাকার ফুটপাথগুলোও জমে উঠেছে। ছোট ছোট দোকান বা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে পছন্দের জিনিসপত্র কেনার জন্য ভিড় জমাতে দেখা গেছে। নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সবাই ঈদ উপলক্ষে নিজের ও পরিবারের জন্য কেনাকাটা করছেন। অনেকেই পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেনাকেটা করতে এসেছেন।

ক্রেতাদের আগমনে খুশি বিক্রেতারাও। বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহখানেক আগেও বেচাকেনা ছিল না বললেই চলে। তবে দু-তিন দিন ধরে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। করোনার কারণে ঈদুল ফিতরে ব্যবসা না হওয়ায় তাদের বিশাল অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়েছে।

ছোট মার্কেটগুলোয় আগত ক্রেতার বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিল না। এমনকি সামাজিক দূরত্বও মানতে দেখা যায়নি তাদের।

মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক কিছুটা কমেছে মন্তব্য করে আজিজ সুপার মার্কেটের দোকানি মীর মো. জসিম বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের বিরাট লোকসান হয়ে গেছে। এ ক্ষতি পোষাতে কয়েক মাস লেগে যাবে।’ এ মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন আসিফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সন্তানরা গত সাড়ে তিন মাস বলতে গেলে ঘরবন্দী। তাই ঈদ সামনে রেখে টুকিটাকি কেনাকাটা করতে সন্তানদের নিয়েই বের হয়েছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর