পুরান ঢাকার ওয়ারীর লকডাউন সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ওই এলাকায় সংক্রমণ কমতে শুরু করে। এ পর্যন্ত ২৯৩ জন নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ২০ জন রোগী নিয়ে গতকাল রাত ১২টায় শেষ হয় লকডাউন।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দুজন মুগদা হাসপাতালে এবং একজন সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নমুনা পরীক্ষার শেষ রিপোর্ট পর্যন্ত গড়ে ২০ শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষায় গড়ে ৪৫ শতাংশ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। পরে লকডাউন কঠোর করলে সংক্রমণের হার কমতে থাকে। লকডাউন এলাকার কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত এবং ডিএসসিসি অঞ্চল-৫ এর সমাজকল্যাণ দফতরের প্রশিক্ষক নূরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, লকডাউন উঠে গেলেও স্বাস্থ্যসেবা এবং অস্থায়ী বুথে নমুনা সংগ্রহসহ অন্যান্য সব সেবাই চলমান থাকবে। লকডাউনে এলাকায় সংক্রমণের হার অনেক কমেছে এবং লকডাউন সফল হয়েছে। ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে ৫১ জন সংক্রমিত হন। ৪ জুলাই করোনা পরীক্ষায় নমুনা দিয়েছিলেন ১৬ জন, তার মধ্যে ৭ জন করোনা পজিটিভ। ৫ জুলাই ১৯ জনের মধ্যে ১০ জন, ৬ জুলাই ১৬ জনের মধ্যে ৭ জন, ৭ জুলাই ১৮ জনের মধ্যে ৭ জন, ৮ জুলাই ২৬ জনের মধ্যে ১২ জন এবং ৯ জুলাই ১০ জনের মধ্যে ৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহে ১০ জুলাই ১৫ জনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ জন এবং ১১ জুলাই ১৪ জনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ জন। ১২ জুলাই সংক্রমিত হন ১২ জন। ১৩ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ জন। ১৯ জুলাই সংক্রমিত হন ৯ জন। তবে ওয়ারীতে জনসংখ্যা অনুপাতে করোনা পরীক্ষার হার অনেক কম ছিল বলে মনে করে আইইডিসিআর ও ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিনের মতো গতকালও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকে প্রচার করতে থাকেন, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ যেন বাইরে বের না হন এবং মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত ৪৭ জনকে নিয়ে ৪ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন), লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাঙ্কিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট এলাকায় লকডাউন শুরু হয়।