শিরোনাম
সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

নতুন আক্রান্তে ব্রাজিলকে টপকে গেল ভারত

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা চলছে। সপ্তাহখানেক ধরে নতুন আক্রান্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ছিল ব্রাজিল। কিন্তু গত শনিবার দেশটিকে টপকে গেছে ভারত। এদিন ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ২৩৪ জন, আর ভারতে ছিল ৪৮ হাজার ৪৭২ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত সাড়ে ৬ লাখ, আর আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ। গত শনিবার ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন মৃত্যু ছিল ৫ হাজার ৬৯০ জন, আর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অন্তত ২ লাখ ৫৮ হাজার। এদিন আগের মতোই মৃত্যুতে শীর্ষে ছিল ব্রাজিল। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ছিল ১ হাজার ১১১ জন। যুক্তরাষ্ট্রে ছিল ৯০৮ জন, আর ভারতে ৬৯০ জন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নতুন করোনাভাইরাস মহামারীতে ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও ৪৮ হাজার ৬৬১ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫২২ জনে দাঁড়িয়েছে। আনন্দবাজার জানিয়েছে, ২০ জুলাই ভারতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ পেরিয়েছিল, এরপর ৬ দিনের মধ্যেই সংখ্যাটি ১৪ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দেশটিতে এখন দৈনিক শনাক্তের পরিমাণও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে টানা চার দিন ৪৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। কভিড-১৯ এ মৃত্যু সংখ্যার দিক থেকে স্পেন ও ফ্রান্সকে টপকে যাওয়া ভারতে গতকাল সকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে সরকারি হিসাবেই করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৩ জনে দাঁড়াল। এর মধ্যে কেবল মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৯ জনের। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৮০৬ জনের। ৩ হাজার ৪০৯ জনের মৃত্যু নিয়ে এরপরই আছে তামিলনাডু। গুজরাটে কভিড-১৯ দুই হাজার ৩০০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কর্নাটক, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে। কয়েক দিনে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারতে সংক্রমণ তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণের এ দুই রাজ্য। কর্নাটকে মোট ৯০ হাজার ৯৪২ জন এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৮৮ হাজার ৬৭১ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

একজনকে সন্দেহ হতেই উত্তর কোরিয়ায় জরুরি অবস্থা : গোটা উত্তর কোরিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী কেইসং শহরকে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্ত থেকে আসা এক ব্যক্তির শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিম জং উন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সন্দেহজনক ওই ব্যক্তির শরীরে কভিড-১৯ পাওয়া গেলে তিনি হবেন দেশিটির প্রথম করোনা রোগী। উপসর্গ থাকা ওই ব্যক্তি গত ১৯ জুলাই উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। এরপর তাকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে কয়েক দফা মেডিকেল চেকআপ করা হয়।

সর্বশেষ খবর