বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

অনেক ক্ষতি হয়েছে সম্ভাবনাও আছে

-সাইফুল ইসলাম

অনেক ক্ষতি হয়েছে সম্ভাবনাও আছে

করোনাভাইরাসের প্রভাবে চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পে অনেক ক্ষতি হলেও, ব্যাপক সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এলএফএমইএবি সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, করোনার প্রভাবে ২২ শতাংশ রপ্তানি কমে ধস নেমেছে। সাভারের চামড়া শিল্প নগরী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে না। সেখানে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার-সিইটিপি কার্যকর নয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এলএফএমইএবি সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ছয় বছর যাবৎ চামড়া ও চামড়া শিল্প খাত এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করলেও, এবার করেছে ৮০০ মিলিয়ন। এই বিপর্যয়ের কারণে শুধু চামড়া রপ্তানিই কমেছে ৪০ শতাংশ। বিশ্ববাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবার অনেক চ্যালেঞ্জ যেমন আছে, তেমনি আছে ব্যাপক সম্ভাবনাও। কারণ, বৈশ্বিক ক্রেতারা চীনের ওপর তাদের নির্ভরতা কমিয়ে বহুমুখী হচ্ছেন। ওইসব বৈশ্বিক ক্রেতাদের কাছে টানতে পারলে লাভবান হবে বাংলাদেশ। চ্যালেঞ্জ হলো, দেশে যেন সামাজিক ও শ্রমিক অস্থিরতা না হয়। দক্ষ শ্রমশক্তি ধরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি খাতকে দায়িত্বশীল হতে হবে। সরকার ব্যবসাবান্ধব হলেও, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

মো. সাইফুল ইসলাম সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে আরও বলেন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে। এক্ষেত্রে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে বিসিকের বরাদ্দ পাওয়া প্লটে যেসব প্রতিষ্ঠান শর্ত মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন শুরু করতে পারেনি তাদের প্লট বাতিল করে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হোক।

সর্বশেষ খবর