বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থায়ন সমস্যার সমাধান চাই

-মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন

অর্থায়ন সমস্যার সমাধান চাই

করোনাভাইরাসের প্রভাবে চামড়া শিল্পের ভয়ঙ্কর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অর্থায়নের নিশ্চয়তা চান বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিএফএলএলএফইএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। তিনি বলেন, রপ্তানিতে ধস নেমেছে। সংকট উত্তরণে অর্থায়ন সমস্যার সমাধান করতে হবে। ব্যাংক ঋণ সমস্যা সমাধানে ১৫ বছর মেয়াদি ঋণ সুবিধা দ্রুত দিতে হবে। একই সঙ্গে বিগত ৩ বছর আমরা ব্যবসা করতে না পারায়, এই সময়ের ব্যাংক ঋণের সুদ দ্রুত মওকুফ করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ঋণ তহবিল থেকে চামড়া শিল্পে পৃথক বরাদ্দ রেখে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে। হাজারীবাগকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক ঘোষিত রেড জোন থেকে অবমুক্ত করতে হবে। সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ঘোষিত নির্ধারিত দামে জমি দিতে হবে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার-সিইটিপি চালুর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চামড়া খাতের সংকট ২০১৭ সালে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর থেকেই শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ভুলের কারণে এই খাত বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিসিকের কারণেই এ খাত পিছিয়ে পড়েছে। বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদামতো পরিবেশবান্ধব কারখানার চামড়া দিতে না পারায় ব্যবসা হারাতে হয়েছে। ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য দেশে চলে গেছেন। বিসিকের ভুলে সাভার চামড়া শিল্প নগরী কমপ্লায়েন্স না হওয়ায় গত কয়েক বছর বেশির ভাগ চামড়া অবিক্রীত থেকে নষ্ট হয়েছে। হঠাৎ করে ট্যানারিগুলোর কাজ বন্ধ থাকায় এবং কমে যাওয়ায় মজুদ চামড়ায় রাসায়নিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়েছে। ট্যানারির বেশি ব্যয় হয়েছে কারখানা স্থাপনে। এই কারখানা নির্মাণে ব্যাংক ঋণ দেয়নি। শিল্প নগরীর জায়গা বিসিক এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। হাজারীবাগের জমি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর এখন পর্যন্ত নন-কমপ্লায়েন্স থাকার কারণে কারখানাগুলোতে উৎপাদন চালু করেও চামড়া বিক্রি করা যায়নি। এ সময় ইউরোপের বড় বাজার হারাতে হয়েছে।

সর্বশেষ খবর