বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বরেন্দ্র যেন একখণ্ড সুন্দরবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বরেন্দ্র যেন একখণ্ড সুন্দরবন

বরেন্দ্র অঞ্চলে এলেই দেখা মিলবে উঁচু-নিচু ভূমি। তাকালে মনে হবে ঢেউ খেলানো মাটি। যতই দিন যাচ্ছে ততই সবুজশূন্য হয়ে পড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চল। চারদিকে ফাঁকা মাঠ। বাবু ডাইংয়ে এমন ফাঁকা মাঠে যেন সবুজের মেলা বসেছে। ফাঁকা মাঠের মধ্যে এমন বনভূমি দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার অংশ নিয়ে ছোট্ট এ বনভূমি গড়ে উঠেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে বাবু ডাইং। আয়তন ৩২২ দশমিক ১৫ একর। সম্প্রতি বাবু ডাইং বনভূমিতে গিয়ে দেখা যায়, পাকা রাস্তা একেবারে বন পর্যন্ত চলে গেছে। শেষ মাথায় একটা গোলচত্বর করা হয়েছে। চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ। কোথাও জনমানবের সাড়া নেই। গাছে গাছে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ ভেসে আসছে। গোলচত্বরটি মূল ভূখ- থেকে অনেক উঁচুতে। সেখান থেকে পূর্ব দিকের টিলার মতো উঁচু-নিচু ভূমিটিই বাবুডাইং নামে পরিচিত। ঢেউ খেলানো সুন্দর বন। মাঝখানে একটা বড় খাড়ি (ছোট নদী)। বাবু ডাইংয়ে যাওয়ার জন্য খাড়ির ওপরে একটি কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। কালভার্ট পার হয়ে দুই পাশের ঘাসের মাঝ দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আমনুরা ঝিলিম ইউনিয়েন চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম জানান, ঝিলিম ইউপির শেষ সীমানায় চটিগ্রাম, বিলবলটা ও বাবুডাইং মৌজায় ৩০০ একরের বেশি আয়তনের গড়ে উঠেছে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানটি। এটি সরকারি সম্পত্তি। তিনি আরও জানান, বরেন্দ্র ভূমির একটি জায়গাকে সংরক্ষিত ঘোষণা করতে হলে বাবুডাইংকেই করতে হবে। এমন অসাধারণ সুন্দর ভূমি বরেন্দ্র অঞ্চলে আর দ্বিতীয়টি নেই। এটি সরকারের হাতেই আছে। শুধু সংরক্ষিত ঘোষণা করতে হবে। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, সরকারিভাবে গোদাগাড়ী উপজেলার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তারা পর্যটন কেন্দ্রের জন্য কয়েকটি জায়গার তালিকা তৈরি করেছেন। তার মধ্যে প্রথম বাবুডাইংয়ের নাম আছে।

সর্বশেষ খবর