জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল ভোর ৪টার দিকে ফুসফুসের জটিলতায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে (সাবেক এ্যাপোলো) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বাবুর মৃত্যুতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল বলেন, বাবু ভাই ফুসফুসের রোগে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। প্রচ- শ্বাসকষ্ট থাকায় সোমবার দুপুরে শফিউল বারী বাবুকে প্রথমে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত দেড়টায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বাদ আসর দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবুকে দাফন করা হয়। এ দিকে গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শফিউল বারী বাবুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে কার্যালয়ের সামনের সড়কে শফিউল বারী বাবুর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, জামায়াতের মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা শাহ নেছারুল হক। জানাজার আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিই ছিলেন না, তিনি বিএনপির নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ। এ ছাড়াও জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাসাস, ড্যাবসহ বিএনপির সব অঙ্গ সহযোগী সংগঠন শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।