বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
সিলেটে ট্যুরিস্ট গাইড খুন

গেঞ্জির রং ধরে তদন্ত ধরা পড়ল দুই খুনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের জাফলংয়ে ট্যুরিস্ট গাইড সাদ্দাম হোসেন হত্যাকান্ডে জড়িত দুজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। উদ্ধার করা হয়েছে নিহত সাদ্দামের লুট হওয়া ডিএসএলআর ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন সেট। এক খুনির গেঞ্জির রংকে ভিত্তি করে তদন্ত চালিয়ে ‘ক্লু-লেস’ এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। গতকাল দুই আসামিকে আদালতে তোলা হলে একজনকে কারাগারে ও অন্যজন কিশোর হওয়ায় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার আসামিরা হলো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার চনপাড়ার (পুনর্বাসন কেন্দ্র) দীন ইসলামের ছেলে মো. হুমায়ুন (১৫) ও মো. সানীর ছেলে মো. সজল (২০)। এর মধ্যে সজল পেশায় বাসের হেলপার ও হুমায়ুন জুতার দোকানের সেলসম্যান। পর্যটকবেশে তারা সিলেট এসেছিল। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান জানান, ১৫ জুলাই জাফলংয়ের সংরক্ষিত বন এলাকার একটি টিলার ওপর খুন হন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের ট্যুরিস্ট গাইড ও ফটোগ্রাফার সাদ্দাম হোসেন (৩০)। এ ঘটনার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ‘ছায়া তদন্ত’ শুরু করে। হত্যাকান্ডের দিন সাদ্দামের সঙ্গে দুই যুবককে দেখা গেছে, এর একজনের পরনে ‘অফ হোয়াইট’ গেঞ্জি ছিল- স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে এমন তথ্যই পান পিবিআইর তদন্তকারী দলের সদস্যরা। গেঞ্জির রং ধরে তদন্ত করে তারা জানতে পারেন ১৪ জুলাই এক কিশোর ও এক যুবক সিলেটের কদমতলী টার্মিনাল এলাকার হোটেল আল হকে রাতযাপন করেছেন। হোটেলের রেজিস্টারে সজল নিজের নাম সঠিকভাবে লেখালেও হুমায়ুন নিজের পরিচয় দেয় সাগর নামে। পরে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া থেকে সজল ও হুমায়ুনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হুমায়ুনের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন। জব্দ করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত ছোরাও। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান জানান, জাফলংয়ে গিয়ে ছবি তোলার কথা বলে সাদ্দামকে সঙ্গে নেয় হুমায়ুন ও সজল। এরপর তারা একটি নির্জন টিলার ওপর যায়। সেখানে হুমায়ুনের ছবি তোলার সময় সজল পেছন থেকে সাদ্দামের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে সজলের হাত থেকে ছোরা পড়ে গেলে তুলে এনে হুমায়ুনও ছুরিকাঘাত করে। এরপর ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর