বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য পরামর্শ

করোনাকালে দেহের পুষ্টি চাহিদা

চৌধুরী তাসনীম হাসিন

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও সবাইকে মেনে চলতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা। পাশাপাশি বেছে নিতে হবে প্রতিরোধের সর্বোচ্চ পন্থা। পুষ্টিগত দিক থেকে কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করলে খুব সহজেই বাড়বে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। পুষ্টিকর খাবার যেমন মাংসপেশিকে উন্নত করে, তেমনি দেহে পুষ্টির অভাব দূর করে। করোনাকালে এসব পুষ্টিকর খাবার দিন শেষে আপনার দেহে তৈরি করবে প্রতিরোধের দেয়াল, যা রক্ষা করবে করোনাসহ যেকোনো ভাইরাস জাতীয় অসুস্থতা থেকে। ভিটামিন এ, সি, কে এবং ফলমূলে থাকা ভিটামিন, মিনারেল বাড়াতে পারে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অর্থাৎ দৃঢ় করবে মানবদেহের ইমিউনিটি সিস্টেম। সেক্ষেত্রে রঙিন শাকসবজি এবং টক জাতীয় ফলমূল হলো পুষ্টি চাহিদা মেটানোর অন্যতম উৎস। তেমনই একটি ফল বেদানা। এটি অ্যান্টিভাইরাল ক্ষমতাসম্পন্ন ফল, যা যে কোনো ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন ধরনের টাটকা শাক-সবজি, ফল, পূর্ণ শস্যদানা সমৃদ্ধ খাবার, বিভিন্ন প্রকার ডাল এবং শিম জাতীয় খাবার, সঙ্গে প্রাণীজ উৎসের খাবার, যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এ ছাড়া মানবদেহ সচল আর রোগমুক্ত রাখার জন্য প্রতি ঘণ্টায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ গরম পানি পান করা জরুরি। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে মধু ও আদা, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াবে। দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম পোক্ত করতে কলা ও ডাবের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুরগি অথবা সবজির স্যুপে ব্যবহার করা যেতে পারে রসুন।

এ সময় ডায়াবেটিক ও কিডনি রোগীরা সুষম খাদ্য তালিকা মেনে চলবেন। সুষম খাদ্য তালিকা দেহের রোগের ব্যাপ্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। কেউ যদি জ্বরে আক্রান্ত হন, তবে তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন প্রথম শ্রেণির প্রোটিন জাতীয় খাবার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন প্রতি কেজি ওজনের জন্য অন্তত ১-১, ১/২ গ্রাম হয়। কাঁচা মাছ-মাংস, শাকসবজি বাজার থেকে এনে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। আর এরপর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। মাছ, মাংস এবং ডিম যথাযথ পরিমাণ তাপমাত্রায় পরিপূর্ণ সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করা জরুরি। উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চললে পুষ্টিগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব।

লেখক : পুষ্টিবিদ

সর্বশেষ খবর