দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা কুমিল্লা, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংশ্লিষ্টদের বাড়িঘরও লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা সন্দেহে পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য :
কুমিল্লা : কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে স্থাপিত কুমিল্লা কভিড-১৯ হাসপাতালে বুধবার রাতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি নিয়ে মারা গেছেন অরুণ বণিক (৫৫) নামে আরও এক ব্যক্তি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বুধবার রাত ২টা ১৫ মিনিটে মারা যান চাঁদপুর জেলার মতিনবাগ এলাকার ওই ব্যক্তি।সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আবদুল খালেক (৬০) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর চারটার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তিনি মারা যান। তিনি জেলার কলারোয়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ওই ব্যবসায়ী। ভোর চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হলো।
চুয়াডাঙ্গা : করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-সর্দি নিয়ে নবিছউদ্দীন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সদর উপজেলার উকতো গ্রামের নবিছউদ্দীনকে এ দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নবিছউদ্দীন কয়েকদিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।