শিরোনাম
বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশুর হাহাকার

আলী আজম

শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশুর হাহাকার

আকাশচুম্বী দামেই শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। তবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পশুর হাহাকার ছিল। শেষ মুহূর্তে বিশেষ করে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এ সংকট দেখা দেয়। ফলে গত কয়েকদিন ধরে সস্তা থাকা গরু-ছাগলের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। ফলে দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি দামে পশু বিক্রি হয়েছে। অনলাইনেও অনেক পশু বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার গাবতলী হাট, মেরাদিয়া হাট, কমলাপুর হাট, আফতাব নগর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে শত শত মানুষ, কিন্তু সেই তুলনায় গরু নেই। গরু সংকট দেখা দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। ক্রেতাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে গরু-ছাগল কেনেন। গরু কিনতে আসা ব্যক্তিরা বলেন, শেষ মুহূর্তে যেখানে গরুর দাম কম হওয়ার কথা সেখানে এ বছর উল্টো দৃশ্য দেখেছে ঢাকাবাসী। একে তো আকাশ ছোঁয়া দাম, অন্যদিকে হাটে ক্রেতার তুলনায় গরুর সংখ্যা ছিল কম। ইজারাদাররা বলেন, করোনার প্রভাবে অন্যান্য বছরের তুলনায় হাটে গরু আসে কম। প্রথম দিকে যারা গরু বিক্রি করেননি তারা লাভবান হয়েছেন। অবশ্য বিক্রেতারা বলেছেন, কয়েকদিন ধরে পাইকাররা ঢাকার হাটগুলোতে গরু নিয়ে এসেও ক্রেতার অভাবে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। তাই নতুন করে অনেকে গরু নিয়ে আসেননি। ফলে গরু সংকট দেখা দেয়। অনেকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহাসড়কগুলোতে তীব্র যানজটের কারণে গরুবাহী ট্রাকগুলো ঢাকায় ঢুকতে না পারায় গরু সংকটের দেখা দেয়। কোরবানির পশু কিনতে যারা হাটে গেছেন তাদের অনেকেই এক হাট থেকে আরেক হাটে ঘুরেছেন। কেউ আবার চড়া দামেই গরু কিনে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে আবার সাধ্যের মধ্যে গরু না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ক্রেতারা বলেছেন, মাঝারি মানের পশুর চাহিদা বেশি থাকায় অতিরিক্ত দাম হেঁকেছেন।

শেষ মুহূর্তে গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা বেড়েছিল ছাগলের। করোনা পরিস্থিতিতে অর্থ সংকটের পাশাপাশি গরু সংকটে পড়ে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। তাই গরু না কিনে অনেকেই স্বল্প দামের মধ্যে ছাগল কোরবানি দেওয়ার কারণে চাহিদা বাড়ে ছাগলের।

পলাশী মোড়ে ছাগল ক্রেতা আবদুুস সালাম বলেন, ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দামের ছাগল তিনি ১১ হাজার টাকায় কিনেছেন। বকশিবাজার মোড়ে ছাগল বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৫ হাজার টাকার ছাগল তিনি ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

গ্রামীণফোনের পরিচালক মেজর রায়হান (অবসর) অভিযোগ করেন, আউরা এগ্রো থেকে একটি গরু এবং সাদেক এগ্রো থেকে একটি ছাগল অর্ডার দিয়েছিলাম। টাকাও পরিশোধ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে আউরা এগ্রো গরু ডেলিভারি দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও সাদেক এগ্রো ছাগল ডেলিভারি দেয়নি। পরে সাদেক এগ্রোর অনলাইনে দেওয়া সব নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর