শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

কম দামে ইলিশ বেশি দামে সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কম দামে ইলিশ বেশি দামে সবজি

বাজার দর

ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। তাই তুলনামূলক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তবে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজি। দেশের অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় সবজির সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি- এমন কথা বলছেন বিক্রেতারা।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রচুর ইলিশ। বাজারে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক সস্তা। বিভিন্ন বাজারে এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকা, যা কিছু দিন আগেও ছিল ১২০০-১৩০০ টাকা। ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে। আর আধাকেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকার মধ্যে। যাত্রাবাড়ী এলাকার এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, এখন বাজারে ইংলিশ সস্তা। জেলের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণে দাম কম। এর থেকে কম দামে ইলিশ পাওয়া যাবে না। কিছু দিন আগে যে ইলিশ ১২৫০ টাকা বিক্রি করেছি, এখন তা ৮৫০ টাকা। তবে এসব বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সারা দেশে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। যার প্রভাবে           দাম বেড়েছে। বাজার ও মানভেদে এককেজি বেগুন কিনতে এখন খরচ করতে হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা, যা মাসখানেক আগে ছিল ৪৫-৫৫ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। কাঁচকলা পাওয়া যেত ২০-২৫ টাকা হালি দরে। কিন্তু এখন এক হালি কলা কিনতে লাগছে ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া বরবটি বাজারভেদে ৭০-৯০ টাকা, চিচিংগা ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স ৪০-৪৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুমুখী ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদের পর এবার বাজারের চিত্র অন্যবারের মতো না। এবার ঈদ করতে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে তুলনামূলক মানুষ কম গেছে। তবে বন্যার কারণে ঢাকার আশপাশের জেলা ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় সবজির খেত নষ্ট হয়েছে। যে কারণে দাম একটু বেড়েছে। বাজারে সবচেয়ে দামি সবজি শিম ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত দুই সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের দাম ২০০ টাকার নিচে নামছে না। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গাজর ৮০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা। অন্যদিকে প্রতি পিছ বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৫০ টাকা, লাউ মাঝারি আকারের ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে ইলিশের দাম কমলেও অন্যান্য মাছের দাম তুলনামূলক বেশি। বোয়াল মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকার ভেদে ৭০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে চাষের মাছের দাম কিছুটা কম।  চাষের চিংড়ি ৭০০ টাকা থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, টেংরা সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা, পাবদা সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর